মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ১৫২/১০ (২০ ওভার)
কেকেআর: ১৪২/৭ (২০ ওভার)
জেতা ম্যাচ শেষ পর্যন্ত ১০ রানে হেরে বসল কেকেআর। সহজ জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল মাত্র ১৫৩ রান। মুম্বইয়ের ১৫২ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে একসময় কেকেআর ওপেনিং জুটিতেই ৭২ তুলে ফেলে। তখন সবে মাত্র ৯ ওভার। সেই ম্যাচেই কিনা কেকেআর ২০ ওভারে মাত্র ১৪২/৭-এর বেশি তুলতে পারল না।
মুম্বইয়ের বোলিং কেন চলতি টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা, তা আরো একবার প্ৰমাণ পাওয়া গেল। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে মুম্বইকে ম্যাচে ফেরালেন রাহুল চাহার। আগের ম্যাচে যথেচ্ছ রান খরচ করেছিলেন। পীযুষ চাওলা-কে খেলানোর কথা উঠেছিল। তবে রোহিত শর্মা তরুণ তুর্কি চাহারের ওপরেই ভরসা রেখেছিলেন।
আরো পড়ুন: দুর্যোগ! দলের একনম্বর অস্ত্রকে হারাল রাজস্থান, হাত ভেঙে টুর্নামেন্টই শেষ মহাতারকার
অধিনায়কের আস্থার মর্যাদা দিলেন চাহার টানা চার উইকেট নিয়ে কেকেআরকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়ে। কেকেআর ইনিংসের প্রথম চারজন- শুভমান গিল (৩৩), নীতিশ রানা (৫৭), রাহুল ত্রিপাঠি (৫), ইয়ন মর্গ্যানকেই (৭) আউট করে ম্যাচে উত্তেজনা সঞ্চার করেন। এরপরে সাকিব আল হাসানকেও ফেরান ক্রুনাল পান্ডিয়া। ১২২/৫ হয়ে যাওয়ার পরে ম্যাচ হঠাৎ ঘুরে যায় মুম্বইয়ের দিকে।
তবে টার্গেট সামান্যই ছিল। সবথেকে বড় কথা ক্রিজে ছিলেন দীনেশ কার্তিক এবং আন্দ্রে রাসেল। তবে কেকেআরের দুই তারকা বুমরা-বোল্টের সামনে কার্যত খাপ খুলতে পারেননি। রাসেল এবং কার্তিকের ব্যাট হাতে অবদান যথাক্রমে ১৫ বলে ৯, ১১ বলে ৮। শেষ ২ ওভারে জয়ের জন্য কেকেআরের দরকার ছিল ১৯ রান। ১৯তম ওভারে বুমরা মাত্র ৪ রান খরচ করেন। শেষ ওভারে বল করতে এসে বোল্ট ৪ রান দিয়ে পরপর দু-বলে তুলে নেন আন্দ্রে রাসেল এবং প্যাট কামিন্সকে।
তার আগে দুর্দান্ত বোলিং করে কেকেআরও। শক্তিশালী মুম্বইকে নির্ধারিত ২০ ওভারেই অলআউট করে দিয়েছিল নাইটরা।
আরো পড়ুন: ১৬.২৫ কোটির মরিসকে সিঙ্গল রানে নাকচ সঞ্জুর! সেঞ্চুরি করেও বিতর্কে বিদ্ধ রয়্যালস ক্যাপ্টেন
আর কেকেআরের হয়ে এদিন বল হাতে দুরন্ত আন্দ্রে রাসেল। ডেথ ওভারে বল করতে এসে ২ ওভারে ১৫ রান খরচ করেই তুলে নেন ৫ উইকেট। এর মধ্যে শেষ ওভারেই পরপর আউট করেন ক্রুনাল পান্ডিয়া, রাহুল চাহার, জসপ্রীত বুমরা, ট্রেন্ট বোল্টকে।
টসে জিতে কেকেআর এদিন ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে। দুই প্রান্ত থেকেই স্পিন দিয়ে আক্রমণের সূচনা করেন ক্যাপ্টেন মর্গ্যান। আর দ্বিতীয় ওভারেই ক্রিস লিনের পরিবর্তে খেলতে নামা কুইন্টন ডিকককে তুলে নেন বরুণ চক্রবর্তী। ১০ রানে প্রথম উইকেট খোয়ানোর পরে সূর্যকুমার যাদব এবং রোহিত শর্মা ম্যাচ ধরে নিয়েছিলেন। মাত্র ৩৩ বলে হাফসেঞ্চুরি করে মুম্বইকে বড়সড় টার্গেটের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন সূর্যকুমার। দুজনে স্কোরবোর্ডে যোগ করে ফেলেছিলেন ৭৭ রান।
তবে সূর্যকুমারকে সাকিব আল হাসান ফেরানোর পরেই কার্যত ধসে যায় মুম্বইয়ের ইনিংস। প্যাট কামিন্স এক ধাক্কায় ঈশান কিষান (১) এবং রোহিত শর্মাকে (৩২ বলে ৪৩) আউট করে পতন নিশ্চিত করেন। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। ৮৬/২ থেকে ১৫২ তোলার ফাঁকে বাকি সবকটি উইকেট হারায় মুম্বই।
তবে দিনের শেষে শেষহাসি হাসল মুম্বই-ই।
কেকেআর: নীতিশ রানা, শুভমান গিল, রাহুল ত্রিপাঠি, ইয়ন মর্গ্যান, দীনেশ কার্তিক, আন্দ্রে রাসেল, সাকিব আল হাসান, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, প্যাট কামিন্স, হরভজন সিং, বরুণ চক্রবর্তী
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: কুইন্টন ডিকক, রোহিত শর্মা, ঈশান কিষান, সূর্যকুমার যাদব, কায়রণ পোলার্ড, হার্দিক পান্ডিয়া, ক্রুনাল পান্ডিয়া, রাহুল চাহার, জসপ্রীত বুমরা, ট্রেন্ট বোল্ট, মার্কো জানসেন
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন