চার বিদেশি নেই। কেউ চোটে, কেউ আবার করোনার জুজুতে দেশে পাড়ি দিয়েছেন। তাই এবার বাকি ফ্র্যাঞ্চাইজিদের কাছে লোনে বিদেশি নেওয়ার আর্জি জানাল রাজস্থান রয়্যালস।
চলতি আইপিএল এমনই বেনজির কাণ্ডের সাক্ষী থাকল। চোটের কারণে জোফ্রা আর্চার এবং বেন স্টোকস রাজস্থানের জার্সি চাপাতে পারেননি। অন্য ইংরেজ তারকা লিয়াম লিভিংস্টোন আবার বাবলের ক্লান্তির কারণে দেশে চলে গিয়েছেন। চতুর্থ বিদেশি হিসাবে এই ছেড়ে যাওয়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান পেসার এন্ড্রু টাই। ভারতে ক্রমবর্ধমান কোভিড পরিস্থিতিতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়তে পারেন, এই আশঙ্কায় আগেভাগেই অস্ট্রেলিয়া রওনা দিয়েছেন টাই।
আরো পড়ুন: করোনা যুদ্ধে মোদির পাশে কেকেআরের কামিন্স! ভারতকে ভালোবেসে বড়সড় সিদ্ধান্ত তারকার
রাজস্থানের এক শীর্ষস্থানীয় কর্তা সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে বলেছেন, "দল অন্য দলের বিদেশিদের চেয়ে বাকি ফ্র্যাঞ্চাইজিদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে। তবে এখন কোনো কিছুই চূড়ান্ত হয়নি।" সোমবার থেকেই আইপিএলের লোনের উইন্ডো চালু হয়েছে। টুর্নামেন্ট শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই উইন্ডো খোলা থাকবে। নিয়ম অনুযায়ী, যে বিদেশিরা এখনও পর্যন্ত দলের হয়ে দুটো ম্যাচে খেলারও সুযোগ পাননি। তাঁদের লোন হিসাবে নিতে পারে অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি।
এন্ড্রু টাই জানিয়েছিলেন, ভারত থেকে ফেরার পর তাঁর শহর পার্থে কোয়ারেন্টাইনে থাকার মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। তাই তাঁর এমন সিদ্ধান্ত। চলতি মরশুমে রয়্যালসের জার্সিতে একটাও ম্যাচে নামেননি তিনি। ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে তাঁর চুক্তির পরিমাণ ১ কোটি টাকা।
দোহার SEN রেডিওতে টাই আরো বলেছেন, “পার্থে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে। তাই পার্থ সরকার বিশেষ করে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া ভারত থেকে যাঁরা ট্র্যাভেল করছেন, তাঁদের ওপর বিধিনিষেধ জারি করছে। তাছাড়া বাবলের ক্লান্তি তো রয়েইছে। ভারত পুরোপুরি অবরুদ্ধ হয়ে যাওয়ার আগেই এদেশ ছেড়ে যেতে চাইছি। টানা বাবলে খেলার ধকল আর নিতে পারছি না। গত অগাস্ট থেকে পরিবারের সঙ্গে মাত্র ১১দিন কাটিয়েছি। তাই দেশে ফিরে যেতে চাইছি।”
ভারতে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় বিদেশে একাধিক দেশে ভারত থেকে যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ব্রিটেন, নিউজিল্যান্ড তো বটেই এই তালিকায় রয়েছে ইতালিও।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন