রাজস্থান রয়্যালসের ক্রিস মরিস আইপিএলে সবথেকে বেশি দামি ক্রিকেটার। তাঁর জগৎটাই বদলে গিয়েছে কয়েকমাস আগে। তবে ক্যাপ্টেনের ভরসা পেলেন না তিনি। নন স্ট্রাইকিং এন্ড থেকেই তাঁকে দেখতে হল রুদ্ধশ্বাস রান চেজ।
কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের পাহাড়প্রমাণ ২২২ রান তাড়া করতে নেমে রাজস্থান টার্গেট প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছিল। আইপিএল কেরিয়ারের তৃতীয় শতরান করে সঞ্জু স্যামসন একাই দলকে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছিলেন। তবে ফিনিশিং লাইন পেরোতে ব্যর্থ তিনি।
ম্যাচের সবথেকে আলোচিত ঘটনা ঘটে শেষ ওভারের শেষ দুই বলে। পাঞ্জাবের অর্শদীপ সিং বোলিং করছিলেন। শেষ দু-বলে প্রয়োজন ছিল পাঁচ রান। ধোনির মতোই ছয় মেরে দলকে জেতাতে চেয়েছিলেন সঞ্জু। সেই কারণেই ক্রিস মরিসকে সিঙ্গল রান দিতে সরাসরি নাকচ করে দেন তিনি।
ম্যাচের পরে তাঁর সিদ্ধান্ত নিয়ে কার্যত দুভাগ হয়ে গিয়েছে ক্রিকেট দুনিয়া। সতীর্থ ক্রিস মরিসকে বিশ্বাস কেন করতে পারলেন না সঞ্জু, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। আর ক্রিস মরিসকে সিঙ্গল দিতে অস্বীকার করার পরেই সঞ্জু স্যামসন ডিপে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন। ৬৯ বলে সঞ্জু স্যামসনের রুদ্ধশ্বাস ১১৯ রান বিফলে যায়। ৪ রানে ম্যাচ জিতে যায় পাঞ্জাব কিংস।
আর স্যামসনের কাছে সিঙ্গল রানে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পরে মরিসের মুখের অভিব্যক্তি ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সুপার হিট। একের পর এক মিম বানানো হয়েছে সেই অভিব্যক্তি নিয়ে।
টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ হারলেও যেভাবে রাজস্থান রয়্যালস খেলেছে, তাতে ক্রিকেট পন্ডিতদের সম্ভ্রম আদায় করে নিয়েছেন রয়্যালসরা। গত মরশুমেও সঞ্জু স্যামসন রয়্যালসের সেরা রান সংগ্রাহক ছিলেন। এবারেও প্রথম ম্যাচের পরে তিনিই বেগুনি টুপির মালিক।
রাজস্থান রয়্যালস টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে বৃহস্পতিবার। প্রতিপক্ষ গতবারের রানার্স দিল্লি ক্যাপিটালস। যাঁরা প্ৰথম ম্যাচেই সিএসকেকে হারিয়ে টুর্নামেন্টে শুভ সূচনা করেছে। আপাতত ওয়াংখেড়েতে রাজস্থান টানা পাঁচ ম্যাচ খেলবে। তারপরেই দিল্লিতে পা রাখবে তাঁরা।