রোহিত শর্মাকে নিয়ে মিম বানিয়ে বিপদের মুখে অনলাইন খাবার ডেলিভারি সংস্থা সুইগি। মঙ্গলবার আইপিএলে কেকেআর বনাম মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচ ছিল। সেই ম্যাচের আগেই সুইগি নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়ায় রোহিত শর্মাকে ব্যঙ্গ করে একটি মিম শেয়ার করে। তারপরেই ভারতীয় ক্রিকেট ভক্তদের রোষের মুখে সংস্থাটি। টুইটারে ট্রেন্ডিং করছে, 'ব্যান সুইগি' হ্যাশট্যাগও।
কী রয়েছে সেই মিম-এ? সুইগি-র পোস্ট ক্রসেই মিম-এ দেখা যাচ্ছে রোহিত শর্মা রাস্তার ধারে একটি বড়া পাও স্টলে ঝাঁপ মারছেন। গায়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের জার্সি। ফটোশপ করে রোহিত শর্মার মিমটি বানানো হয়েছে। ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, "নিন্দুকরা বলবেন, এটি ফটোশপ"।
ক্রিকেট মহলে বড়া পাও-প্রেমী বলে রোহিত শর্মার 'সুনাম' রয়েছে। নেট দুনিয়ায় একাধিকবার রোহিত শর্মার বড়া পাও প্রীতি নিয়ে মজার মিম বানানো হয়েছে। সবই করেছেন ক্রিকেট ভক্তরাই। তবে কোনো সংস্থার তরফে এমন মিম এবারই প্ৰথম।
তবে রোহিতকে নিয়ে এমন বিদ্রুপ করায় চটেছেন ক্রিকেট ভক্তরা। একজন লিখেছেন, "জাতীয় দলের সহ অধিনায়কের কাছে এই মিম রীতিমত অসম্মানজনক। কোনোভাবেই এটা সহ্য করা যায় না।" সেই সুরই শোনা গিয়েছে বাকি ক্রিকেট ভক্তদের গলাতেও। তারপরেই বুধবার থেকে টুইটারে সুইগি বর্জনের ডাক দেওয়া হয়েছে।
ক্রিকেট ভক্তদের সম্মিলিত প্রতিবাদের মুখে পড়ে সুইগি সেই মিম ডিলিট করে দিতে বাধ্য হয়। পরে ক্ষমা চেয়ে সংস্থার টুইটার একাউন্ট থেকে লেখা হয়েছে, "হিটম্যান সমর্থকদের বিশেষ বার্তা। আমরা একজন ফ্যানের টুইট মজা করেই শেয়ার করেছিলাম। আমরা ছবিটি না বানালেও, অস্বীকার করার জায়গা নেই, আরো ভালো শব্দ সহযোগে বিষয়টি পরিবেশন করা যেত। কোনোভাবেই কাউকে অসম্মান করার জন্য টুইট করা হয়নি। আর বলার অপেক্ষা রাখে না, আমরা চিরকালীন মুম্বই পল্টনের সমর্থক।"
রোহিতের সঙ্গে বড়া পাও-র যোগ লকডাউনের পরেই। লকডাউনে ক্রিকেটাররা বাড়িতে থেকেই ফিটনেসের চর্চা করেছেন। তবে রোহিত শর্মা লকডাউনের পরে ওজন বাড়িয়ে ফেলেন বলে আলোচনাও শুরু হয়। সেই সময়েই রোহিত ভক্তদের ক্ষোভের মুখে পড়েন স্বয়ং বীরেন্দ্র শেওয়াগ। আইপিএল সংক্রান্ত একটি ভিডিওতে তিনি বলে বসেন, "রোহিত শর্মা আজ খেলছে না। কী হবে যদি বড়া পাও চোটগ্রস্ত হয়ে থাকেন। ওর জায়গা নিয়েছে সামোসা পাও। মানে সৌরভ তিওয়ারি। বুঝতে পারছ কেন?" রোহিত শর্মাকে সরাসরি 'বড়া পাও' বলার ধাক্কা সোশ্যাল মিডিয়ায় টের পেয়েছিলেন বীরু। সেই একইভাবে এবার রোষের কেন্দ্রে সুইগি।