আইপিএল শুরুর আগেই প্রচন্ড চাপে পড়ে গিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। ক্যাপ্টেন শ্রেয়স আইয়ারের বড়সড় চোটে দিল্লি অন্দরমহলে শুরু হয়ে গিয়েছে পারমুটেশন কম্বিনেশন। কে হবে ক্যাপ্টেন।
প্রথম ওয়ানডে ম্যাচেই ধাক্কা খেয়েছিল ভারত। মসৃণভাবে জয়লাভ করলেও দুই তারকা ক্রিকেটারের চোট চিন্তায় ফেলে দিয়েছে টিম ইন্ডিয়াকে। রোহিত শর্মা ব্যাট করার সময় মার্ক উডের বলে কনুইয়ে চোট পান। অন্যদিকে, ইংল্যান্ড ব্যাট করার সময় অষ্টম ওভারে ডাইভ দিয়ে বল বাঁচাতে গিয়ে মারাত্মক চোটের শিকার হন শ্রেয়স আইয়ার। সঙ্গেসঙ্গেই মাঠ ছাড়েন তিনি। পরে টিম ইন্ডিয়ার তরফে বলা হয়, কাঁধের হাড় সরে গিয়েছে তারকার।
আরো পড়ুন: আম্পায়ারদের অসম্মান করে চাপে রাখছেন! বিস্ফোরক অভিযোগে ছিন্নভিন্ন কোহলি
চলতি ওয়ানডে সিরিজের বাকি দুই ম্যাচে যে শ্রেয়স আইয়ার ছিটকে গিয়েছেন, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। তবে আইপিএলের একটা অর্ধ খেলতে পারবেন না তিনি। টিম ম্যানেজমেন্ট সূত্রের খবর, ৬-৮ সপ্তাহ বাইরে ছিটকে গিয়েছেন শ্রেয়স। এর মধ্যে অস্ত্রোপচার হলে এই সময়সীমা আরো বাড়বে। গোটা আইপিএলেই তাঁকে দেখা যাবে না।
কিন্তু শ্রেয়স আইয়ার না থাকলে কে হবেন দিল্লির নেতা। তা নিয়ে একাধিক চিন্তাভাবনা শুরু হয়ে গিয়েছে। এমনিতে দিল্লি ক্যাপিটালস দলে ভাইস ক্যাপ্টেন হিসাবে অধিনায়ক হওয়ার কথা ঋষভ পন্থের। তবে দলে রয়েছেন একাধিক সিনিয়র ক্রিকেটার। রবিচন্দ্রন অশ্বিন, অজিঙ্কা রাহানে- টিম ইন্ডিয়ার সিনিয়র দুই তারকার আইপিএলে ক্যাপ্টেন হওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। রাহানে যেমন এক মরশুম আগেও রাজস্থান রয়্যালসকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। দিল্লিতে চলে আসার আগে রবিচন্দ্রন অশ্বিন নেতা ছিলেন কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের। এর মধ্যেই উঠে এসেছে স্টিভ স্মিথের নাম-ও।
সম্ভাব্য তিন নেতৃত্বের দাবিদার:
স্টিভ স্মিথ: অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দল এবং রাজস্থান রয়্যালসের প্রাক্তন নেতা। ২০১৯ সালে রাহানের হাত থেকে রাজস্থান রয়্যালসে নেতৃত্বের ব্যাটন তুলে দেওয়া হয় তাঁর হাতে। ২০২০ সালে পূর্ণ সময়ের নেতা হিসেবে রাজস্থান রয়্যালসে সফল না হলেও স্মিথের নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা অপরিসীম। আইপিএলে ন্যূনতম পাঁচ মরশুম যে বিদেশিরা অধিনায়কত্ব করেছেন তাঁদের মধ্যে সফলতম স্মিথ। নেতা হিসেবে স্মিথের জেতার শতকরা হার ৫৯.৫২।
রবিচন্দ্রন অশ্বিন: ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম ধুরন্ধর ক্রিকেটার। নেতা হিসাবেও চতুর। এর আগেও কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবে দুই মরশুম (২০১৮, ২০২৯) অধিনায়কত্বের দায়িত্ব সামলেছেন। তারপরে ট্রেডিংয়ে চলে আসতে হয় দিল্লি ক্যাপিটালস দলে। শ্রেয়স আইয়ারের পরিবর্ত হিসাবে একদম যথার্থ তিনি।
ঋষভ পন্থ: দিল্লি ক্যাপিটালস দলের বিশেষত্ব হল, তরুণদের সামনে এগিয়ে দেওয়া। শ্রেয়স আইয়ারকে নেতা হিসেবে বেছে নেওয়া এই পরিকল্পনারই অংশ। সেই হিসাবে পন্থকে যদি নেতা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়, তাহলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। জাতীয় দল কিংবা আইপিএলে আগে নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা না থাকলেও দিল্লি রঞ্জি দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। এমনিতে চাপের মুখে ভাল খেলার সুনাম রয়েছে তারকার। পন্থকে নেতা হিসাবে বেছে নিয়ে চমকে দিতে পারে দিল্লি ক্যাপিটালস।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন