আইপিএলে ট্রফি জেতা যে কোনও দলের কাছেই স্বপ্নের মত। তবে গত দু দশক ধরে খুব কম সংখ্যক দলই বিশ্বের সেরা টি২০ টুর্নামেন্টের খেতাব জিতেছে।
আইপিএলে একের বেশিবার ট্রফি জয়ের কৃতিত্ব রয়েছে একমাত্র সিএসকে (৪ বার), মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (৫ বার) এবং কেকেআরের (২ বার)। অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজি আবার একাধিকবার চেষ্টার পরেও একবারও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি।
বিশাল অর্থ তো বটেই আইপিএলের ট্রফি জেতা রীতিমত মর্যাদার। আইপিএল ট্রফি জেতা সংশ্লিষ্ট ফ্র্যাঞ্চাইজি তো বটেই তা সমর্থকদের কাছেও গর্বের বিষয়। সিএসকে অথবা মুম্বই সমর্থকদের দেখলেই বিষয়টি স্পষ্ট। সদ্য শেষ হওয়া আইপিএলে লিগের শেষের দিকে দুই স্থান অর্জন করেছে সিএসকে, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। তা সত্ত্বেও একাধিকবার ট্রফি জয়ের পুরোনো কীর্তিতে বলীয়ান চেন্নাই-মুম্বইয়ের সমর্থকরা।
গুজরাট প্ৰথমবার আইপিএল ট্রফি জিতল। আবির্ভাবের মরশুমেই খেতাব জয় গুজরাটের কীর্তিকে স্পেশ্যাল করে দিয়েছে। আইপিএল ফাইনালে রাজস্থান রয়্যালসকে ৭ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এই ঐতিহাসিক জয় এসেছে ঘরের মাঠ মোতেরায়। গোটা টুর্নামেন্টে দুর্ধর্ষ খেলার পুরস্কার পেয়েছে টাইটান্সরা।
আরও পড়ুন: মেয়ে বেবো-কে ভুলেই গিয়েছেন, সংসার চলছে গয়না বিক্রি করে! IPL চ্যাম্পিয়ন শামিকে নিশানা হাসিনের
এক লাখ দর্শকের সামনে এই জয়। বিশাল জয়ের পরে মাঠেই ঝাঁপিয়ে পড়েন সমর্থকরা। আর নিজের শহরের ফ্র্যাঞ্চাইজির জয় দেখে আবেগ সামলাতে পারেননি জয় শাহ-ও। শুভমান গিল বাউন্ডারি হাঁকানোর পরেই বসার আসন থেকে লাফিয়ে ওঠেন জয় শাহ।
আর গুজরাটের জয় যেভাবে জয় শাহ সেলিব্রেট করলেন, সেই ভঙ্গিতেই প্ৰশ্ন তুলছেন নেটিজেনরা। বলছেন, বোর্ডের সচিব হিসাবে কোনও দলের প্রতিক্রিয়া দেখানোর সময় অনেক সংযত থাকতে পারতেন তিনি। গুজরাটের জয় সেলিব্রেট করার বদলে অনেকেই তাঁকে নিরপেক্ষ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। আরও বেশি পেশাদার হওয়ার বার্তাও ভেসে এসেছে অনেকের কাছ থেকে। অনেকে আবার একধাপ এগিয়ে আইপিএল ফাইনাল পূর্ব নির্ধারিত ছিল, এমনটা জানিয়ে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: শাহরুখের KKR-কে চরম চাপ সিএবি-র! অস্বস্তিতে ফেলে প্রকাশ্যেই বিবৃতি প্রেসিডেন্ট ডালমিয়ার
অনেকে আবার নিজের আবেগের স্বতঃস্ফূর্ত বহিঃপ্রকাশ দেখানোয় জয় শাহকে কুর্নিশ করেছেন। সবমিলিয়ে আইপিএল ফাইনালের মঞ্চে বিতর্ক বাড়িয়ে গেলেন জয় শাহ।