ভাইদের যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত শেষ হাসি হাসলেন দাদা ক্রুনাল। আইপিএলে দল গঠন চূড়ান্ত হওয়ার পরই সকলের নজরে ছিল হার্দিক বনাম ক্রুনাল দ্বৈরথ। দুই ভাই-ই এতদিন আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের জার্সিতেই খেলতেন। ২০১৫ থেকে ২০২১- সাত বছর দুই অলরাউন্ডার ভাই মুম্বইয়ের স্কোয়াডের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন।
এবার ঝাড়াই বাছাইয়ের পরে দুই ভাইয়ের ঠিকানা হয়েছে আলাদা আলাদা ফ্র্যাঞ্চাইজি। হার্দিক যেমন গুজরাট টাইটান্সের অধিনায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন, তেমন ক্রুনাল আবার নাম লিখিয়েছেন লখনৌ দলে। আর প্ৰথম ম্যাচেই দুই ভাইয়ের ফ্র্যাঞ্চাইজি মুখোমুখি হয়েছিল। সেই লড়াইয়ে ক্রুনাল আউট করলেন ভাই হার্দিককে। তবে আউট করেও সেলিব্রেট করা থেকে নিজেমে বিরত রাখলেন।
আরও পড়ুন: পিছনে দৌড়ে অবিশ্বাস্য ক্যাচ! IPL-এর সেরা ক্যাচ কি এটাই, দেখুন ভিডিও
আইপিএল কেরিয়ারে এই প্ৰথম ভাই হার্দিককে আউট করার পরে কার্যতই বিহ্বল হয়ে পড়েন তিনি। তাঁর অভিব্যক্তিতেই তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। গুজরাট ইনিংসের ১১ তম ওভারের ঘটনা। সেই সময় হার্দিক ২৭ বলে ৩৩ রান করে ক্রিজে বেশ জমে গিয়েছিলেন।
আর দাদা ক্রুনাল পান্ডিয়ার এক বলে সোজা ছক্কা হাঁকাতে চেয়েছিলেন ছোট পান্ডিয়া। তবে সেই শট বাউন্ডারি পার হয়নি। দারুণ ক্যাচ নেন মনীশ পাণ্ডে। আর সেই মহার্ঘ্য উইকেট নিয়ে ক্রুনাল কিছুটা হতভম্ব হয়ে পড়েন। সতীর্থরা একসঙ্গে সেই আউট সেলিব্রেট করতে এলে, ক্রুনাল কিছুটা ইতস্তত করেই আলিঙ্গন করতে থাকেন সতীর্থদের। আঙ্গুল দিয়ে মুখ বন্ধ রাখার ইঙ্গিত দিয়ে প্রতীকী বার্তা দেন তিনি।
ম্যাচের পরে এই বিষয় নিয়ে মুখ খুলে হার্দিক জানিয়ে দেন, দুই ভাইয়ের দ্বৈরথে পরিবার সবসময় নিরপেক্ষ থাকছে। পাশাপাশি তিনি বলে দেন, ক্রুনাল তাঁকে আউট করলেও ম্যাচে জয় লাভ করেছে তাঁর দল গুজরাটই। "যদি হেরে যেতাম, তাহলে ক্রুনালের কাছে আউট হওয়া কাঁটার মত বিঁধত। তবে এখন আমাদের পরিবার নিরপেক্ষ এবং খুশি। ও আমাকে আউট করেছে , আমরাও ম্যাচ জিতেছি।"
হার্দিক পান্ডিয়ার কাছে সোমবারের ম্যাচ ছিল নিজেকে চেনানোর। দুই মরশুম পরে হার্দিক পান্ডিয়া আইপিএলে পুরোদস্তুর অলরাউন্ডার হিসাবে হাজির হলেন। গত দুই সংস্করণের আইপিএলে হার্দিক এক ওভারও বোলিং করেননি মুম্বইয়ের জার্সিতে। বল হাতে নিজের সেরা ফর্মে না থাকলেও বোলার হার্দিকের প্রত্যাবর্তনে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে ক্রিকেট মহল।