ক্রিকেটে উত্থান-পতনের বহু কাহিনী রয়েছে। আইপিএলও বহু রথী-মহারথীকে বিশ্বমঞ্চে পরিচিতি দিয়েছে। তবে ভাগ্য বদলের নতুন কাহিনী এবার প্রকাশ্যে এল আইপিএল শুরুর ঠিক ছয়দিন আগে।
জাতীয় দলের একসময়ের তারকা পেসার মোহিত শর্মা এবারেও আইপিএলে অংশ নেবেন। তবে ২০১৪-য় সিএসকের হলুদ জার্সিতে বেগুনি টুপির মালিকের কহানি মে টুইস্ট অন্য জায়গায়। ক্রিকেটার হিসেবে নয়, মোহিত শর্মা এবার আইপিএলে থাকবেন স্রেফ একজন নেট বোলার হিসাবে। ফরিদাবাদ থেকে উঠে আসা ৩৩ বছরের এই তারকা হাইভোল্টেজ ম্যাচের আগে গুজরাট টাইটান্স দলের ব্যাটসম্যানদের প্রস্তুতিতে সাহায্য করবেন।
আরও পড়ুন: শাহরুখের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় পাগল হয়ে যাব! KKR মালিককে নিয়ে খুল্লামখুল্লা ক্যাপ্টেন শ্রেয়স
আইপিএলে ৮৬টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে মোহিতের। নামের পাশে ৯২ উইকেট। ২০১৪-য় ধোনির অধীনে সিএসকেতে বেগুনি টুপির মালিক হওয়ার কীর্তিও রয়েছে তাঁর। যে মরশুমের অর্ধেক-অর্ধেক খেলা হয়েছিল ভারত-আমিরশাহি মিলিয়ে। সেই পেসারকেই এবার গুজরাট টাইটান্স দলে নিয়েছে স্রেফ একজন নেট বোলার হিসাবে। সেই খবর প্রকাশ্যে আসার পরই ক্রিকেট জগতে তুমুল হৈচৈ পড়ে যায়।
আইপিএল কেরিয়ার শুরু হয়েছিল ২০১৩-য়। সিএসকেতে প্ৰথম মরশুমেই মোহিত ১৫ ম্যাচে ২০ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। বোলিং গড় ছিল ১৬.৩০। আর আইপিএলে দুরন্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েই মোহিত সটান জাতীয় দলে জায়গা পেয়ে যান। অগাস্টের ১-এ মোহিত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটান জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে।
যাইহোক, ২০১৩ মরশুম যেখানে শেষ করেছিলেন, সেখান থেকেই নিজেকে অন্য উচ্চতায় তুলে নিয়ে যান ২০১৪-য়। ১৬ ম্যাচে হলুদ জার্সিতে মোহিত শর্মা ২৩ উইকেট তুলে নিয়ে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী হয়ে যান।
আরও পড়ুন: ধোনির পাশে সবসময় থাকব! অতীতের বিতর্ক মুছে ফেলতে বিরাট-বার্তা গম্ভীরের, দেখুন ভিডিও
তবে ২০১৩, ২০১৪-র দুর্ধর্ষ পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারেননি তারপরে। ক্রমশ ফর্মের অবনতি হয়েছে। পরিস্থিতি আরও জটিল হয় সিএসকে এই সময় নির্বাসনে চলে যাওয়ায়। মোহিত নাম লেখান কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব শিবিরে। সেই মরশুমে ১৪ ম্যাচ খেলেও প্রভাব ফেলতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত বাদ পড়েন। ২০১৯-এ সিএসকে সংসারে প্রত্যাবর্তন করলেও মাত্র একটা ম্যাচে খেলার সুযোগ পান। ২০২০-তে দিল্লি ক্যাপিটালস দলেও একই কাহিনী। ২০২২-এ নিলামে অবিক্রিত থাকার পরে একসময়ের তারকা আপাতত নেট অনুশীলনে দলকে সাহায্য করবেন।
জাতীয় দলের হয়ে ২৬টি ওয়ানডে এবং ৮টি টি২০ ম্যাচেও অংশ নিয়েছেন। দুই ফরম্যাটে উইকেট সংখ্যা যথাক্রমে ৩১ এবং ৬টি।
মোহিতের ক্রিকেট-কাহিনী যে সিনেমার স্ক্রিপ্টকেও হার মানাবে, তা বলাই বাহুল্য।