/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/05/sehwag-kohli.jpg)
কোহলি-গম্ভীর দ্বন্দ্বে কলঙ্কিত হয়েছে আইপিএল জগৎ। নভিন উল হকের মত বিদেশি ক্রিকেটার জড়িয়ে যাওয়ায় দেশের ক্রিকেটের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ণ হয়েছে। এমন অবস্থায় সরাসরি বিরাটকে জরিমানার বদলে দু-তিন ম্যাচ নির্বাসনে পাঠানোর পক্ষে সওয়াল করেছিলেন সুনীল গাভাসকার।
গাভাসকারের সুরে সুর মিলিয়েই এবার কোহলি-গম্ভীরকে নিষিদ্ধ করার আওয়াজ তুললেন বীরেন্দ্র শেওয়াগ। শেওয়াগের সঙ্গে গম্ভীর ভারতের সর্বকালের সেরা ওপেনিং জুটি। শেওয়াগ আবার কোহলির সঙ্গেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন। তবে দুজনের ব্যবহারে ক্ষুব্ধ নজফগড়ের নবাব। বলে দিলেন, আরও সংযমী হওয়া উচিত ছিল দুজনের।
ক্রিকবাজ-কে শেওয়াগ বলে দিয়েছেন, "ম্যাচ শেষ হওয়ার পরেই টিভি বন্ধ করে দিয়েছিলাম। তাই ম্যাচের পর কী হয়েছিল, তা নিয়ে বিন্দুমাত্র ধারণা ছিল না। পরের দিন সকালে উঠে দেখি, সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক হৈচৈ। যা ঘটেছে, তা মোটেই ঠিক হয়নি। হেরে যাওয়া দল হার হজম করে নেবে। জয়ী দল সেলিব্রেট করবে। একে অন্যকে কিছু বলার কী প্রয়োজন ছিল! সবসময় বলি, এঁরা দেশের আইকন। যদি ওঁরা কিছু বলে, করে দেখায়, সেটা লাখো লাখো বাচ্চা ফলো করবে। ওরা হয়ত ভাববে, 'আমার আইডল এটা করেছে, আমিও করি'। তাই এই ঘটনা মাথায় রেখে এরকম ঘটনা যাতে না হয় সেই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।"
এরপরেই শেওয়াগ শাস্তির বিষয়ে মুখ খুলেছেন। বোর্ডের তরফে তড়িঘড়ি কোহলি-গম্ভীরের ম্যাচ ফির একশো শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। নভিন উল হকের জরিমানার অঙ্ক ম্যাচ ফির পঞ্চাশ শতাংশ। তবে শেওয়াগ বলছেন, কড়া শাস্তি না দিলে এরকম দৃষ্টান্ত বাড়তেই থাকবে।
"যদি বিসিসিআই কাউকে নিষিদ্ধ করে, তাহলে হয়ত এরকম ঘটনা ভবিষ্যতে কম ঘটবে অথবা ঘটবেই না। অতীতেও এরকম ঘটনা ঘটেছে। তাই মাঠে সংযত আচরণ করে ড্রেসিংরুমে যা কিছু ঘটার ঘটুক। মাঠে এরকম ঘটনা মোটেই ভালো দেখায় না। আমার নিজের সন্তানরা ক্রিকেটারদের ঠোঁটের ভাষা পড়তে পারে। ওরা জানে বেন স্টোকস মানে কী! এটা ভেবেই খারাপ লাগছে। যদি কেউ এরকম বলে আমার সন্তানরা ঠিক বুঝে যাবে। ওরা আগামীকাল ভাবতেই পারে কোহলি-গম্ভীর যদি এরকম বলে, তাহলে আমরাও বলতে পারি।"