মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ১৩৯/৭
সিএসকে: ১৪০/৪
চিপকে ঘরের মাঠে মুম্বইকে কার্যত পিষে মারল চেন্নাই সুপার কিংস। টানা দুটো ম্যাচ ২০০-র ওপর রান চেজ করে জিতেছিল মুম্বই। সূর্যকুমার যাদব, ঈশান কিষান থেকে টিম ডেভিড একসঙ্গে জ্বলে উঠেছিলেন। তবে শনিবার মুম্বইকে মাটিতে নামিয়ে আনল সিএসকে। ধোনি প্ৰথমে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন মুম্বইকে। মুম্বইয়ের হেভিওয়েট ব্যাটিং লাইন আপ ধসে গিয়েছিল মাত্র ১৩৯ রানে। সেই রান চেন্নাই চিপকের স্লো পিচে চেজ করে জিতল হাতে ছয় উইকেট, ১৭ বল নিয়ে।
প্ৰথমে পিচ দেখে মনে হচ্ছিল ১৭০-১৮০ রানের পিচ। মুম্বই টপ অর্ডারে অদল বদল করেছিল। ক্যামেরন গ্রিন ওপেন করতে এসেছিলেন রোহিত শর্মার জায়গায়। তবে এই চাল কাজে আসেনি। পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই মুম্বই গ্রিন, ঈশান কিষান এবং রোহিতকে হারিয়ে ফেলে।
চাপে পড়ে যায় মিডল অর্ডার। চেন্নাইয়ের স্পিন-পেস আক্রমণ বর্তমানে বেশ ফর্মে রয়েছে। টপ অর্ডার ফ্লপ করার পর মিডল অর্ডার সেই ধাক্কা সামলাতে পারেনি। এদিন ছিলেন না তিলক ভার্মা-ও। তবে নেহাল ওয়াদেরা নিজের জাত চিনিয়ে চাপের মুখে হাফসেঞ্চুরি করে যান। সূর্যকুমার যাদবের সামান্য অবদান বাদে কেউই নেহালকে ইনিংস গড়ার কাজে সাহায্য করতে পারেনি।
চেন্নাইয়ের হয়ে ইনিংসের শুরুতে দারুণ বোলিং করে যান দুই ফ্রন্টলাইন পেসার দীপক চাহার এবং তুষার দেশপান্ডে। মিডল ওভারে সেই চাপ বজায় রেখে দুরন্ত বোলিং করে যান রবীন্দ্র জাদেজা। মাথিসা পাথিরানা তিন উইকেট দখল করেন।
সামান্য টার্গেট চেজ করতে সমস্যা হয়নি সিএসকের। চলতি সিজনে পুরোটাই সিএসকেকে দারুণ সূচনা উপহার দিচ্ছেন রুতুরাজ গায়কোয়াড (১৬ বলে ৩০) এবং ডেভন কনওয়ে (৪২ বলে ৪৪)। এদিনও তার ব্যত্যয় হয়নি। দুজনে ওপেনিং জুটিতেই ৪৬ তুলে দিয়েছিলেন। রাহানেও ১৭ বলে ২১ রানের ইনিংসে বেশ কিছু চোখ ধাঁধানো বাউন্ডারি হাঁকিয়ে যান। আম্বাতি রায়ডু সেরকম প্রভাব ফেলতে না পারলেও দারুণ ফর্মে থাকা শিবম দুবে ১৮ বলে ২৬ করে ম্যাচ ফিনিশ করে যান।