সিএসকে: ২০০/৪
পাঞ্জাব কিংস: ২০১/৩
চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে থ্রিলার। ধোনির মাটিতে ধোনির ম্যাজিক ম্লান করে আইপিএলের নখ দাঁত কামড়ানো ম্যাচ জিতে গেল পাঞ্জাব কিংস। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ৮ রান। মাথিস পাথিরানার ওপর দায়িত্ব ছিল ৮ রান ডিফেন্ড করা। প্ৰথম পাঁচ বলে পাথিরানা মাত্র ৫ রান খরচ করে সিএসকেকে অবিশ্বাস্যভাবে ম্যাচ জেতানোর মুখে চলে এসেছিলেন।
তবে সিকান্দার রাজাই ধোনির সামনে শের হিসাবে আবির্ভূত হন। শেষ বলে পাঞ্জাবের হয়ে তিন রান তুলে দেন তারকা।
প্লে অফের দৌড়ে টিকে থাকার জন্য পাঞ্জাবের সামনে চিপকের ম্যাচ বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ২০১ রান চেজ করতে নেমে পাঞ্জাবকে পাওয়ার প্লে-তে লড়াইয়ে রাখে শিখর ধাওয়ান, প্রভসিমরন সিংয়ের ওপেনিং জুটি। দুই ওপেনারই টার্গেট করেন সিএসকে সিমারদের। হাফসেঞ্চুরি পার্টনারশিপও গড়ে ফেলে প্রভসিমরন-ধাওয়ান জুটি। এরপরে মাঝে পাঞ্জাব বেশ কয়েকটা উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল। শেষমেশ পাঞ্জাবের হয়ে ম্যাচের মোড় ঘোরান লিয়াম লিভিংস্টোন। ২৪ বলে ৪০ করে বড় শট হাঁকাতে গিয়েই বিদায় নেন ইংরেজ অলরাউন্ডার। এরপরে দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যায় স্যাম কুরান-জিতেশ শর্মা পার্টনারশিপ। স্যাম কুরান (২০ বলে ২৯), জিতেশ শর্মা (১০ বলে ২১) পরপর দু-ওভারে আউট হয়ে যাওয়ায় ম্যাচে চরম রোমাঞ্চ জন্ম নেয়।
১৯ তম ওভারে ক্রিজে নামেন সিকান্দার রাজা (৭ বলে ১৩)। আর তারপরের ওভারেই হারতে হারতে জয়। একদম ধোনির সামনে।
সিএসকেকে এদিন ভুগিয়ে গেল তাঁদের সিমাররা। তুষার দেশপান্ডে এবং আকাশ সিং কোনও প্রভাব ফেলতে পারলেন না পাওয়ার প্লে-তে। মিডল ওভারে রবীন্দ্র জাদেজা চেন্নাইকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন প্রভসিমরন সিং, অথর্ব তাইডেকে আউট করে। পরের স্পেলে তুষার দেশপান্ডে লিভিংস্টোন, জিতেশ শর্মাকে ফেরালেও রানও বিলিয়ে যান। শেষদিকে দুর্ধর্ষ ডেথ ওভারে পাথিরানা চেন্নাইকে কার্যত জিতিয়ে দিয়েছিলেন। অল্পের জন্য যা হল না।
তার আগে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং নিয়েছিল সিএসকে। তারপর কনওয়ের ব্যাটিং তান্ডব চলল চেন্নাইয়ের ইনিংস জুড়ে। ওপেনিং জুটিতেই ৮৬ তুলে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড এবং ডেভন কনওয়ে। গায়কোয়াড ৩১ বলে ৩৭ করে ফিরে গেলেও কনওয়ের ব্যাট থামানো যায়নি। গায়কোয়াড আউট হওয়ার পর শিবম দুবের সঙ্গে ঝড় তোলা চালিয়ে যান কিউই তারকা। শিবম দুবে অবশ্য এদিন বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ১৭ বলে ২৮ করে দুবে আর্শদীপের শিকার হয়ে ফিরে যান।
যেভাবে শুরু করেছিল সিএসকে ভাবা হয়েছিল হয়ত ২২০ তুলে ফেলবেন ধোনিরা। তবে রবীন্দ্র জাদেজা (১২ বলে ১০), মঈন আলির (৬ বলে ১০) সেভাবে রানের গতি ধরে রাখতে পারেননি। কনওয়ে শেষ পর্যন্ত ৫২ বলে ৯২ করে অপরাজিত থেকে যান। নিজের ইনিংসে ১৬ টা বাউন্ডারি, একটা ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে যান। একসময় সিএসকের ২০০ পেরোনো নিয়ে সংশয় ছিল। তবে ধোনি শেষ ওভারে শেষ দুই বলে জোড়া ছক্কা হাঁকিয়ে চেন্নাইকে ২০০-র ম্যাজিক স্কোরে পৌঁছে দেন।