আরসিবি: ১৮১/৪
দিল্লি ক্যাপিটালস: ১৮৭/৩
প্ৰথম লেগে কোহলি-সৌরভের শীতল সম্পর্ক ম্যাচ ছাপিয়ে শিরোনামে উঠে এসেছিল চিন্নাস্বামীতে। সেই ম্যাচের বদলা নিয়ে আরসিবিকে কচুকাটা করল দিল্লি ক্যাপিটালস। কোহলি-লোমরোর জোড়া হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে দিল্লির সামনে ১৮২ রানের টার্গেট রেখেছিল আরসিবি।
সেই টার্গেট দিল্লি চেজ করল হাতে ৭ উইকেট, ২০ বল বাকি থাকতে। ফিল সল্ট একাই খতন করে দেন আরসিবিকে। জস হ্যাজেলউড, হর্ষল প্যাটেল, মহম্মদ সিরাজ, হাসারাঙ্গার মত হেভিওয়েট বোলিং লাইন আপকে কার্যত একাই মাটি ধরিয়ে দিলেন ইংরেজ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান।
ফিল সল্ট টি২০-র নতুন নক্ষত্র। বিগব্যাশ লিগে আগেই নিজেকে প্রমাণ করেছেন। আইপিএলের মঞ্চেও তিনি যে বেমানান নন, তা চলতি সিজনে প্রমাণ করেছেন নিয়মিতভাবে। পৃথ্বী শ বাদ পড়ার পর ওয়ার্নারের সঙ্গে ওপেনিং করতে নামছেন দিল্লির হতে। আর তাতেই ম্যাজিক। দিল্লি টানা পাঁচ হারের ধাক্কা কাটিয়ে এখন প্লে অফের দৌড়ে রীতিমত অন্যতম দাবিদার। শেষ পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই জয় পেল দিল্লি। ওভার পিছু নয় রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লে-তেই খেলা খতম করে যান সল্ট-ওয়ার্নার জুটি। ওয়ার্নার পাওয়ার প্লে-র শেষ ওভারে হ্যাজেলউডের বলে আউট হওয়ার আগেই ওপেনিং জুটিতে স্কোরবোর্ডে উঠে গিয়েছিল ৬০ রান। তারপর মিচেল মার্শের (১৭ বলে ২৬) সঙ্গেও ৫৯ রান যোগ করেন সল্ট।
এরপরে রিলি রসৌ রানের উৎসবে যোগ দিয়ে যান। তিনটে ওভার বাউন্ডারি, একটা বাউন্ডারিতে রসৌ ২২ বলে ৩৫ করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন। হর্ষল প্যাটেলের এক ওভারে টি ছক্কায় ২৪ রান-ও তুলে দেন রসৌ। ফিল সল্ট ১৬তম ওভারে করণ শর্মার বলে আউট হলেও ম্যাচের ফয়সালা তখন ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। ৪৫ বলে ৮৭ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলে গেলেন তিনি। হাঁকালেন ৮ বাউন্ডারি, হাফডজন ওভার বাউন্ডারি।
টসে জিতে তার আগে আরসিবি ক্যাপ্টেন ফাফ দুপ্লেসিস প্ৰথমে ব্যাটিং নিয়েছিলেন। চলতি টুর্নামেন্টে ধারাবাহিকভাবে আরসিবিকে দুরন্ত সূচনা উপহার দিচ্ছেন ডুপ্লেসিস (৩২ বলে ৪৫) এবং কোহলি (৪৬ বলে ৫৫)। এদিনও সেই একই কাণ্ড। দুজনে শুরুতেই ৮২ রানের পার্টনারশিপ গড়ে বড় রানের প্ল্যাটফর্ম গড়ে দিয়েছিলেন। কোহলি হাফসেঞ্চুরি করলেও ম্যাচের টেম্পো অনুযায়ী খেলতে ব্যর্থ। ভুল সময়েও আউট হয়ে যান তিনি।
শেষমেশ আরসিবি ব্যাটিংয়ে স্ফুলিঙ্গ হয়ে ঝরে পড়েন মহিপাল লোমরোর। ২৮ বলে দ্রুত গতিতে হাফসেঞ্চুরি করার দলকে বড় রানের পুঁজি নিশ্চিত করে দেন তিনি। দিল্লি পেসাররা একটু খরুচে হলেও ডেথ ওভারে আঁটোসাঁটো লেন্থে বোলিং করে যান। মিচেল মার্শ বল হাতে আরও একবার সফল। অক্ষর প্যাটেলও মিডল ওভারে টাইট বোলিং করে যান।
সল্টের ঝোড়ো ইনিংস প্ৰথম থেকেই আরসিবিকে ছিটকে দেয়। পাওয়ার প্লে-তে সল্টের ব্যাটিংয়ের তাপ সহ্য করতে হয় মহাম্মফ সিরাজকেও। মিডল ওভারে আরসিবি স্পিনার হাসারাঙ্গা, ম্যাক্সওয়েল, করণ শর্মারাও ম্যাচে প্ৰভাব ফেলতে পারেননি। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে খেলতে নেমেছিলেন হর্ষল প্যাটেল। প্রথম ওভারেই মিচেল মার্শকে তুলে নিয়েছিলেন তিনি। তবে শেষমেশ রানের বন্যার হাত থেকে দলকে বাঁচাতে পারেননি তিনিও।