কেকেআরের ব্যাটিং নিয়ে স্পষ্টতই এবার অসন্তোষ প্রকাশ করলেন আন্দ্রে রাসেল। বলে দিলেন, পাটা পিচে দলের আরও বেশি স্কোর করা উচিত ছিল। গোটা টুর্নামেন্ট জুড়েই ব্যাট হাতে প্রত্যাশিত ছন্দে নেই ক্যারিবীয় তারকার। আট ম্যাচে দশ পেরোতে পারেননি চারটে ম্যাচেই। প্ৰথম ম্যাচে পাঞ্জাবের বিপক্ষে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ঝড় তুলেছিলেন। তারপর টুর্নামেন্ট যতই এগিয়েছে, ততই নিষ্প্রভ হয়ে উঠেছে রাসেলের ব্যাট।
শনিবার ইডেনে রাসেল ঝড় তোলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। ক্রিজে নেমেই রশিদ খানকে ছক্কা হাঁকিয়ে। তবে ১৯ বলে ৩৪ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। ইনিংসের শেষ বলে আউট হন তিনি।
আর ম্যাচের বিরতিতে রাসেল নিজের অসন্তোষ গোপন করলেন না। সরাসরি টিভি সম্প্রচারকারী চ্যানেলকে সাক্ষাৎকারে বলে দেন, "যা টোটাল দেখলাম, মোটেই ভাল লাগছে না। এটা ১৯০-২০০ রানের পিচ। কমপক্ষে ২০ রান কম তুলেছি আমরা। এর জন্য আমরাই দায়ী।" ডেথ ওভারে রাসেল থাকলেও কেকেআর রানের পাহাড় খাড়া করতে পারেনি। শেষ পাঁচ ওভারে ৪৫ রানের বেশি তুলতে পারেনি নাইটরা। সেটাই রাসেলের মতে ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট।
আরও পড়ুন: KKR শিবিরে চালু দোষারোপের পালা! হারের জন্য ক্যাপ্টেন রানার কাঠগড়ায় ১৯ বছরের নাইট
রাসেলের আশঙ্কাই শেষমেশ সত্যি হয়েছে। ইডেনে এই রান চেজ করতে কোনও সমস্যাই হয়নি টাইটান্স-দের। শুভমান গিল ৩৫ বলে ৪৯ করে দলকে জয়ের প্ল্যাটফর্ম দিয়ে যান। ব্যাট হাতে নিয়মিত জ্বলে উঠতে ব্যর্থ হলেও রাসেল বল হাতে ভরসা জাগানোর মত পারফরম্যান্স করে চলেছেন। এদিন-ও পাওয়ার প্লে-র মধ্যে টাইটান্স ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহাকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তবে শেষরক্ষা হয়নি। ইনিংসের মাঝামাঝি হর্ষিত রানা এবং সুনীল নারিন পরপর দু-ওভারে শুভমান গিল এবং হার্দিক পান্ডিয়াকে।
তবে মিলার (১৮ বলে ৩২) এবং বিজয়শঙ্করের (২৪ বলে ৫১) দুর্ধর্ষ পার্টনারশিপ কেকেআরকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়।