New Update
Advertisment
আন্দ্রে রাসেলের সময়টা মোটেই ভালো যাচ্ছে না। ব্যাট হাতে সেভাবে জ্বলে উঠতে পারছেন না। বলে হাতে উইকেট নিলেও দল হেরে বসছে একের পর এক ম্যাচে। ইডেনে ঘরের মাঠে প্লে অফের দৌড়ে ভাল জায়গায় থাকার জন্য কেকেআর খেলতে নেমেছিল গুজরাট টাইটান্স-এর বিপক্ষে। সেই ম্যাচেই মেজাজ হারালেন রাসেল।
নাইটদের ১৮০ রানের টার্গেট চেজ করতে নেমে ইনিংসের মাঝপথে হঠাৎ খেই হারিয়ে ফেলেছিল গুজরাট। পাওয়ার প্লে-তে আন্দ্রে রাসেল ফিরিয়ে দিয়েছিলেন ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহাকে। ইনিংসের ঠিক মাঝামাঝি সময়ে পরপর দু-ওভারে নারিন এবং হর্ষিত রানা আউট করে দেন ক্যাপ্টেন হার্দিক পান্ডিয়া এবং শুভমান গিলকে।
সেই চাপ ধরে রাখার জন্য আরও একটা উইকেটের খোঁজে মরিয়া হয়ে ছিল কেকেআর। সুযোগ এসেও গিয়েছিল। ১৬তম ওভারে রাসেলের বল হাঁকাতে গিয়ে সোজা হাওয়ায় তুলে দেন মিলার। থার্ড ম্যান থেকে ছুটে আসা সুয়াশ শর্মা ফ্লাডলাইটের মধ্যে বল আন্দাজ করতে পারেননি। সহজ লোপ্পা ক্যাচ মিস করে বসেন তারকা।
নাইটদের ম্যাচে ফিরে আসার যে সামান্যতমও সুযোগ ছিল, তার সলিল সমাধি ঘটে। সেই সময় ১৩ বলে ২৬ রানে ব্যাট করছিলেন প্রোটিয়াজ তারকা। শেষদিকে মিলার আউট হয়ে গেলে চাপ তৈরি করতে পারত নাইট শিবির। তখনও ৫১ রান দরকার ছিল গুজরাটের।
এমন সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার পর প্রকাশ্যেই রাগে ফেটে পড়েন আন্দ্রে রাসেল। সুয়াশকে মাঠেই ভর্ৎসনা করেন ক্যারিবীয় বিগ ম্যান। এমন ক্যাচ হাতছাড়া হওয়ার দৃশ্য বিশ্বাস করতে পারেননি কেকেআর ক্যাপ্টেন নীতিশ রানাও।
আরও পড়ুন: এক ওভারও কেন বোলিং নয় শার্দূলকে! রানার নেতৃত্ব নিয়ে তুলকালাম KKR শিবির
সেই লাইফলাইন পাওয়ার পর গুজরাটকে আর থামানো যায়নি। ১৩ বলে বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত করে ফেলেন হার্দিক পান্ডিয়ারা। মিলার ১৮ বলে ৩২ করে অপরাজিত থেকে যান। বিজয়শঙ্কর অন্যপ্রান্তে কেকেআর বোলিং নিয়ে ছেলেখেলা করে ২৪ বলে ৫১ করে অপরাজিত থেকে যান। মিলার-বিজয়শঙ্কর ৬.২ ওভারে ৮৭ রান যোগ করে ম্যাচ থেকে টেনশনের সমস্ত আবহ ঝটকা মেরে বের করে দেন।