কেকেআর: ১৭৯/৭
গুজরাট টাইটান্স: ১৮০/৩
কেকেআরকে ইডেনে হাসতে হাসতে হারাল গুজরাট। অলরাউন্ড গুজরাটের কাছে কার্যত দাঁড়াতেই পারল না কলকাতা নাইট রাইডার্স। রহমনুল্লাহ গুরবাজের ব্লকবাস্টার ইনিংসে ভর করে স্কোরবোর্ডে ১৭৯ তুলেছিল নাইটরা। তবে ইডেনের ব্যাটিং সহায়ক পিচে সেই রান ডিফেন্ড করা বর্তমানে এরলিং হালান্ডকে বক্সের মধ্যে আটকানোর মতই শক্ত। তা হয়ও-নি। কেকেআরের টার্গেট ১৩ বল বাকি থাকতেই হাতে ৭ উইকেট নিয়ে তুলে দিল টাইটান্স।
ঋদ্ধিমান সাহাকে পঞ্চম ওভারে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন আন্দ্রে রাসেল। তবে শুভমান গিল ৩৫ বলে ৪৯ করে দলকে সফল রান চেজের রিংটোন সেট করে দিয়েছিলেন।
গুজরাটের ইনিংসে চরম আশঙ্কার মেঘ জড়ো হয়েছিল ১০ এবং ১১ নম্বর ওভারে। ক্রিজে টিকে যাওয়া ক্যাপ্টেন হার্দিককে এবং শুভমান গিলকে পরপর ফিরিয়ে দিয়েছিলেন কেকেআরের জার্সিতে এদিন প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা হর্ষিত রানা এবং সুনীল নারিন। তবে ওটুকুই।
মিলার এবং বিজয় শঙ্কর এরপরে নাইটদের ম্যাচে ফেরার কোনও সুযোগ-ই দেননি। বিজয়শঙ্কর শুরুটা ধীরে করলেও সময় গড়ানোর সঙ্গেসঙ্গেই স্বমূর্তি ধরেন। ২৪ বলে ৫১ করে যান বিজয়শঙ্কর। জোড়া বাউন্ডারি, পাঁচটা ওভার বাউন্ডারি সমেত। অন্যপ্রান্তে মিলার দুটো করে ছক্কা, বাউন্ডারির সাহায্যে ১৮ বলে ৩২ করে অপরাজিত থাকেন।
কেকেআরের শুরুটা খারাপ হয়নি। এন জগদীশন ঝোড়ো গতিতেই ইনিংসের সূচনা করেন। লেগ বিফোর হয়ে যাওয়ার আগে জগদীশন বেশ কয়েকটা বাউন্ডারি হাঁকান। তবে জেসন রয়ের বদলে খেলতে নেমে মনে রাখার মনে ইনিংস খেলে গেলেন রহমনুল্লাহ গুরবাজ। প্ৰথম থেকেই গুজরাট বোলারদের ওপর চড়াও হন আফগান তারকা।
শার্দূলকে তিনে পাঠানোর প্ল্যানিং শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়। কোনও রান না করেই ফিরে যান মুম্বইকর। নীতিশ রানা এবং ভেঙ্কটেশ আইয়ারও সেভাবে প্রভাব ফেলতে পারেননি। তবে একপ্রান্তে উইকেট পতন অব্যাহত থাকলেও গুরবাজ রানের গতি কমাতে দেননি। স্বমেজাজে ব্যাটিং করে গিয়েছেন। গুজরাটের সব বোলারদেরই মাঠের বাইরে পাঠান। বিশেষ করে স্বদেশীয় স্পিনার রশিদ খানের ওপর সবথেকে বেশি নির্দয় ছিলেন রহমনুল্লাহ। আইপিএলে একশোতম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন রশিদ। তবে এদিন একদমই ছন্দে ছিলেন না টি২০-র সেরা স্পিনার। ৪ ওভারে ৫৪ রান খরচ করলেন রশিদ। কোনও উইকেটও নিতে পারলেন না।
যাইহোক, রহমনুল্লাহ শেষ পর্যন্ত ৩৯ বলে ৮১ করে যান তিনি। মাঝের ওভারে রিঙ্কু সিং ২০ বলে ১৯ করে যান। কেকেআরের তারকা ব্যাটার এদিন সেভাবে ফর্মে না থাকায় মাঝের ওভারে রানের গতি অনেকটাই কমে যায়।
তবে শেষদিকে ব্যাটে ঝড় তোলেন বার্থডে বয় রাসেল। ডেথ ওভারে ১৯ বলে ৩৪ করে দলকে লড়াই করার মত স্কোরে পৌঁছে দেন।
গুজরাটের হয়ে ক্যাপ্টেন হার্দিক পান্ডিয়াও বেশ খরুচে অবতারে ধরা দেন শনিবার। মিডল ওভারে জশুয়া লিটল এবং নূর আহমেদ দুর্ধর্ষ স্পেলে গুজরাটকে ম্যাচে ফেরান। দুজনেই দুটো করে উইকেট নেন। মহম্মদ শামি বরাবরের মতই দুরন্ত। তিনটে উইকেট তাঁর নামের পাশে।