কেকেআরের জার্সিতে নেতৃত্বে অভিষেক মোটেই সুখের হল না। মোহালিতে ক্যাপ্টেন নীতিশ রানা হার হজম করলেন ডার্কওয়ার্থ লুইস নিয়মের পাল্লায় পড়ে। বৃষ্টি যখন কেকেআরের ইনিংসের রান চেজ আটকে দেয়, সেই সময় নাইটরা ১৬ ওভারে ১৪৬/৭। বাকি চার ওভারে কেকেআরকে তুলতে হত ৪৫ রান। ক্রিজে সুনীল নারিন এবং সাউদি থাকলেও ময়চেফ মোমেন্টাম হারিয়ে গিয়েছিল সেট হয়ে যাওয়া ভেঙ্কটেশ আইয়ার, আন্দ্রে রাসেল আউট হয়ে যাওয়ায়। বৃষ্টির পরে খেলা শুরু হয়নি। কেকেআর-ও প্রয়োজনীয় রানের থেকে ৭ রানে পিছিয়ে ছিল।
কেকেআর হারের পরেই ক্যাপ্টেন নীতিশ রানার নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। শিশির ফ্যাক্টরের কথা ভেবে প্ৰথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। তবে তা বুমেরাং হয়ে যায়। ব্যাট করতে নেমে পাঞ্জাব বিশাল রানের পাহাড় চাপিয়ে দেয়। ভানুকা রাজাপক্ষে থেকে ক্যাপ্টেন শিখর ধাওয়ান, স্যাম কুরান- সকলেই ব্যাট হাতে রান তুলে যান।
আর এখানেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। আন্দ্রে রাসেল, অনুকূল রায়কে বোলার হিসাবে ব্যবহার করার অপশন থাকলেও তা করেননি ক্যাপ্টেন রানা। প্রথাগত পাঁচ বোলার- উমেশ যাদব, বরুণ চক্রবর্তী, সাউদি, সুনীল নারিন এবং শার্দূল ঠাকুরকেই ব্যবহার করে যান।
মাঝের ওভারে পাঞ্জাবের রান তোলার গতি আটকাতে পারেনি কেকেআর বোলাররা। রান লিক হচ্ছে দেখেও প্ল্যান 'বি' কাজে লাগাতে দেখা যায়নি নীতিশ রানাকে। শেষ চার ওভারে পাঞ্জাব ৩৮ রান যোগ করে স্কোরবোর্ডে ১৯১ তুলে দেয়। কেন বোলার হিসাবে অনুকূল রায় কিংবা আন্দ্রে রাসেলকে ব্যবহার করার পথে হাঁটলেন না নীতিশ রানা।
বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে হারের পর নীতিশ রানা জানিয়েছেন, "অনুকূলকে ব্যবহার করার চিন্তা মাথায় এসেছিল। তবে সঠিক সিচ্যুয়েশন আর আসেনি। রাসেল ইনজুরির কারণে ডেথ ওভারে বোলিং করছে না এখন। আমার স্রেফ মনে হয়েছিল পাঁচ বোলারেই স্থির থাকা উচিত।"
আরও পড়ুন: বৃষ্টির আগে এল রাসেল-ঝড়! তবু KK হার
"আসলে পাঞ্জাব ভালো ব্যাটিং করেছে। আমাদের থেকে উইকেটের চরিত্র ভালো বুঝতে পেরেছে। বৃষ্টি না এলে ম্যাচের যে কোনও ফলাফল হতে পারত। ডার্কওয়ার্থ লুইসের অঙ্ক মেলানোর জন্য ভেঙ্কটেশ রানের গতি বাড়াতে গিয়ে দুর্ভাগ্যজনকভাবে আউট হয়ে যায়। সবমিলিয়ে ভালোই ম্যাচ হল। অনেক কিছু শিক্ষা দিয়ে গেল আমাদের। সবে তো মরশুমের প্ৰথম ম্যাচ খেলা হল।"