ব্যাট হাতে রিঙ্কু কেকেআরের জার্সিতে নিয়মিত মাঠ মাতাচ্ছেন। গুজরাট টাইটান্স-এর বিরুদ্ধে আহমেদাবাদে রিঙ্কুর ইনিংস টি২০ ক্রিকেটের ইতিহাসে উঠে গিয়েছে। হার্দিকদের ২০৫ রানের টার্গেট চেজ করতে নেমে রিঙ্কু শেষ ওভারে টানা পাঁচটা ছয় হাঁকিয়ে দলকে অলৌকিকভাবে জিতিয়ে দেন। সেই ম্যাচে রিঙ্কু ২১ বলে ৪৮ করে গিয়েছিলেন। ইনিংস সাজানো ছিল ছয় ছক্কা, এক বাউন্ডারিতে।
জাতীয় দলের হয়ে এখনও না খেলা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে রিঙ্কু তর্কাতীতভাবে সেরা তারকা। উত্তরপ্রদেশের বাঁ হাতি তারকা প্ৰথম সাত ম্যাচে ২৩৩ রান করে ফেলেছেন। আর রিঙ্কুর এই ধারাবাহিক দুর্ধর্ষ পারফরম্যান্সে শীঘ্রই তারকা জাতীয় দলে সুযোগ পাবেন। এমনটাই বলে দিচ্ছেন কেকেআরের হয়ে একসময় চুটিয়ে আইপিএল খেলা ডেভিড হাসি।
স্টার স্পোর্টসে অজি তারকার বক্তব্য, "রিঙ্কু সিং দুর্ধর্ষ এক প্রতিভা। ঘরোয়া ক্রিকেটেও ও দারুণ খেলে চলেছে। কেকেআরের তরফেও পুরোপুরি ওঁকে ব্যাক করা হচ্ছে। ও এখন আত্মবিশ্বাসের চূড়ায় রয়েছে। সম্পূর্ণ অন্য মাত্রায় নিজের খেলা পৌঁছে দিতে ও প্রস্তুত। আশা করি, শীঘ্রই ও টিম ইন্ডিয়ার হয়ে খেলার সুযোগ পাবে।"
রিঙ্কুর মত জাতীয় দলের হয়ে একটিও ম্যাচ না খেলা তুষার দেশপান্ডে আবার বোলারদের মধ্যে সেরার সেরা। সাত ম্যাচে ১২ উইকেট দখল করেছেন সিএসকে পেসার। হয়ত রান খরচ করে ফেলছেন। তবে প্রত্যেক ১২.৭ ডেলিভারি অন্তর একটি করে উইকেট শিকার করছেন তিনি।
সুনীল গাভাসকার এখনই তুষারকে ডেথ ওভার স্পেশ্যালিস্ট হিসাবে শনাক্ত করে ফেলছেন। চাপের মুখে নিখুঁত নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে চলেছেন দেশপান্ডে। "ডেথ ওভার, চাপের মুখে চ্যালেঞ্জ নিতে দ্বিধা করছেন না তুষার। দলের হয়ে মোক্ষম সময়ে উইকেটও শিকার করছেন। ছক্কা হজম করার পরেও নুইয়ে পড়ছে না ও। এই বছরে ওঁর শরীরীভাষা যথেষ্ট ইতিবাচক।" এমনটাই বলেছেন গাভাসকার।
Read the full article in ENGLISH