লখনৌ সুপার জায়ান্টস বনাম আরসিবি ম্যাচের ধুন্ধুমার কাণ্ডের পর তিন দিন অতিক্রান্ত। তবে বিরাট কোহলি, গৌতম গম্ভীর, নভিন উল হককে নিয়ে উত্তেজনা, আলোচনা থামার কোনও লক্ষণ নেই। গোটা উত্তেজনায় আরও তেল দিয়ে যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। সাধারণ টুকটাক স্লেজিং থেকে যে প্রায় হাতাহাতিতে জড়িয়ে যাওয়ার মত পরিস্থিতি তাতে গোটা ক্রিকেট বিশ্বকে দুভাগে ভাগ করে দিয়েছে।
সমস্ত আকর্ষণ আপাতত এই ঝামেলাকে কেন্দ্র করেই। যে সংঘাতের একদিকে ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা ওপেনার, বর্তমানে বিজেপি সাংসদ এবং অন্যদিকে, ভারতের সর্বকালের ব্লকবাস্টার সুপারস্টার। প্রত্যেকেরই নিজস্ব সমর্থককুল রয়েছে। এরকম দুই সুপারস্টারের সংঘাতে প্রচারমাধ্যমের টিআরপি, ভিউয়ারশিপ তরতর করে বাড়ছে।
তবে এই উত্তেজনা, উৎসুক্য অসহ্য মাত্রায় পৌঁছে গিয়েছে। প্রতিদ্বন্দিতামূলক ক্রিকেটে কথার লড়াই হয়েই থাকে। অতীতেও হয়েছে। বর্তমানেও হয়ে চলেছে। ভবিষ্যতে তো হবেই। মুহূর্তের উত্তেজনায় ক্রিকেটাররা পরস্পরকে কটুকথা, এমনকি গালিগালাজ-ও দিয়ে বসেন। ক্রিকেটে তো এরকম অজস্র ঘটনা রয়েছে। ক্রিকেটের অন্য নাম 'জেন্টলম্যান্স গেম'। সেই বিশেষণের বাইরে গিয়েই ক্রিকেটাররা মানসিক চাপের খেলা খেলতে অভ্যস্ত। যা পরবর্তীতে স্লেজিং, গালাগালিতে পর্যবসিত হয়। তবে খেলার যুদ্ধ মাঠেই সীমাবদ্ধ থেকেছে এতদিন।
তবে কোহলি-গম্ভীর ইস্যু এত সহজে মিটে যাওয়ার নয়। হয়ত পরিবর্তিত পরিস্থিতিই এর সূচক। যে ঘটনার ঘনঘটার রেশ ছড়িয়ে থাকবে দিনের পর দিন। আলোচনা, কৌতুহল, পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ- এসব চলতেই থাকবে। কোহলি বনাম গম্ভীর পর্যন্ত তো ঘটনা গড়াতই না। মাঠেই তো নভিন উল হক বনাম বিরাট কোহলি স্লেজিংয়ের মাধ্যমে বিষয়টির ইতি ঘটতে পারত। কোহলি-নভিনের স্লেজিং বিতর্ক মাথা চাড়া দিল সৌজন্য করমর্দনের সময়। গম্ভীরের পুরো ঘটনায় হস্তক্ষেপ এবং বিরাটের মেজাজ গরম- এভাবেই একের পর এক ঘটনা বিষয়টিকে এমন উচ্চতায় নিয়ে গেল যে পুরো পর্ব জাতীয় আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়াল।
ম্যাচ এবং ম্যাচের পরবর্তী ঘটনা প্রবাহ কোহলি টেনে নিয়ে গেলেন মাঠের বাইরেও। ম্যাচের পরেও আরসিবি ভিডিওয় কোহলি নতুন করে ইন্ধন জুগিয়ে বলে দিলেন, "মধুর একটা জয়। যদি তুমি দিতে পারো, তাহলে নিতেও প্রস্তুত থেকো। নাহলে দিতে যেও না।" তারপর ইন্সটা-য় লিখে দিলেন, "আমরা যেসব শুনি সেসব ফ্যাক্ট নয়, স্রেফ কারোর মতামত মাত্র। আমরা যা দেখি, তা সত্যি নয়, একটা দৃষ্টিভঙ্গির অংশ মাত্র।"
এসব করার কী খুব প্রয়োজন ছিল!
Read the full article in ENGLISH