কেকেআরে চরম ফ্লপ। আবার অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে দুর্ধর্ষ ফর্মে। রবিন উথাপ্পা, অজিঙ্কা রাহানে, পীযূষ চাওলা, রাহুল ত্রিপাঠি, কুলদীপ যাদব, দিনেশ কার্তিক এমনকি শুভমান গিল- তালিকা অনেক লম্বা।
গত নিলামের আগে কেকেআর চার তারকা হিসাবে রেখে দিয়েছিল সুনীল নারিন, আন্দ্রে রাসেল, বরুণ চক্রবর্তী এবং ভেঙ্কটেশ আইয়ারকে। ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল শুভমান গিলের মত প্রতিভাকে। সেই গিল-ই এখন গুজরাট টাইটান্স তো বটেই জাতীয় দলের সম্পদ। কেকেআর ছেড়ে গিয়েই গুজরাটের জার্সিতে চ্যাম্পিয়ন হন শুভমান। গতবার হার্দিক পান্ডিয়ার দলের হয়ে শুভমান ৪৮৩ রান করে গিয়েছিলেন। এবার ৩৩৩ রান করে ইতিমধ্যেই টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় ফাফ দুপ্লেসিসের পরেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ইডেনে জিতেই KKR-কে ভয়ঙ্কর অপমান গিলের! খোঁচায় খোঁচায় রক্তাক্ত করলেন নিজের পুরোনো দলকেই
শুভমানের মত প্রতিভাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য অবশ্য কোনও আক্ষেপ নেই কেকেআর সিইও ভেঙ্কি মাইশোরের। নাইট গলফ ইভেন্টে সাংবাদিকদের নাইটদের শীর্ষকর্তা বলে দিয়েছেন, "যে ক্রিকেটাররা আমাদের হাতে বেড়ে উঠেছে তাঁরা অন্য দলের হয়ে ভালো খেলছে। এটা আদতে ভালোই লাগে। শুভমান গিল-ই এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। এমন ক্রিকেটারদের হারাতে মোটেই ভালো লাগে না। গতকাল-ই গিলকে বলছিলাম, তোমার ব্যাটিং বেশ উপভোগ করছি। আশা করি তুমি আমাদের কাছ থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নেবে না। রান করো, কিন্তু আমাদের জিততে দাও।"
তা অবশ্য হয়নি। কেকেআরের ১৮০ রানের টার্গেট চেজ করার সঠিক রিংটোন সেট করে দিয়েছিলেন গিল। আউট হওয়ার আগে ৪৯ করে যান তিনি। গিলের মত তারকাকে হাতছাড়া করার জন্য মাইশোর অবশ্য দায়ী করেছেন আইপিএলের নিয়মকেই, "বিসিসিআই এবং আইপিএল যে নিয়ম তৈরি করে, তার সীমাবদ্ধতা তো রয়েইছে। ২০২২-এর নিলামে আমরা মাত্র চারজনকে রিটেন করতে পেরেছিলাম। এই নিয়ে তর্ক বিতর্ক চলতেই থাকবে। অন্তত ৮-৯ জনকে আমরা রেখে দিতে চেয়েছিলাম। এর মধ্যে থেকেই চারজনকে বেছে নিতে হয়েছে। এটা কঠিন। তবে নিয়ম তো মানতেই হবে। প্রত্যেক দলের সঙ্গেই এমন হয়েছে। শ্রেয়স আইয়ার যেমন দিল্লি ছেড়ে এল। এরকম একাধিক উদাহরণ রয়েছে। এতে কোনও আক্ষেপ নেই। সেই মুহূর্তে আমাদের কাছে যা তথ্য ছিল।সেই ভিত্তিতেই রিটেন করা হয়েছে। আমরা এখনও নিশ্চিত ঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছিলাম আমরা। তবে কয়েকজন ক্রিকেটারকে হারানো সবসময় কঠিন।"
কেন বরুণ-রাসেলদের রিটেন করেছে কেকেআর, তার পক্ষে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি, "ভেঙ্কটেশ আইয়ার, বরুণ চক্রবর্তী আমাদের ২০২১-এর ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছিল। তর্কাতীতভাবে রাসেল টি২০-র সেরা অলরাউন্ডার। নারিনকে নিয়ে তো বলার কিছু নেই। আমাদের দল ছাড়ার পর রাহুল ত্রিপাঠি, লকি ফার্গুসন, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ সকলেই ভালো দর পেয়েছে। এরকম প্লেয়াররা আমাদের সিস্টেমে বড় হয়ে আইপিএল নিলামে বড় অর্থ পাচ্ছে, এটা দেখেও তো আনন্দ হয়।"
Read the full article in ENGLISH