সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে রাহুল দ্রাবিড়কে টিম ইন্ডিয়া হেড কোচ।হিসেবে আর দেখা যাবে না। বিশ্বকাপ পর্যন্তই টিম ইন্ডিয়ার সঙ্গে চুক্তি ছিল তার। বোর্ডের তরফে দ্রাবিড়কে এই চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হলেও তিনি আপাতত রাজি নন। বিশ্বকাপের ফাইনালে ব্যর্থতা সঙ্গে নিয়েই সরে যেতে চাইছেন তিনি। বোর্ডের তরফে দ্রাবিড়কে নিয়ে আপাতত কোনও ঘোষণা করা হয়নি সরকারিভাবে। এমনকি দ্রাবিড়ের সঙ্গে বাকি সাপোর্ট স্টাফ বোলিং কোচ পরশ মামব্রে, ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপ, ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠোরের সঙ্গেও চুক্তি শেষ হয়ে গিয়েছে।
তবে বোর্ড সূত্রের খবর, দ্রাবিড় দায়িত্ব ছাড়লে পরবর্তী কোচ হিসাবে নিয়োগ করা হবে ভিভিএস লক্ষ্মণকে। জাতীয় দলের কোচ হওয়ার আগে দ্রাবিড় এনসিএ-এ প্রধান ছিলেন। এমনকি যুব দলের হেড কোচ-ও ছিলেন তিনি। দুই বছর আগে আইপিএল চলাকালীন তৎকালীন বোর্ড সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং সচিব জয় শাহ দ্রাবিড়কে বুঝিয়ে শুনিয়ে রাজি করেন।
আর দ্রাবিড় কোচ হওয়ার পর তাঁর ছেড়ে যাওয়া আসনে বসেন ভিভিএস লক্ষ্মণ। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের মেন্টর পদ ছেড়ে লক্ষ্মণ এনসিএর প্রধান হন। সেই সঙ্গে দ্রাবিড়ের অনুপস্থিতিতে টিম ইন্ডিয়ার স্টপ গ্যাপ কোচের দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি।
আইপিএলে ফিরছেন দ্রাবিড়:
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, দ্রাবিড় আইপিএলে ফেরার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছেন। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ্রাবিড় আইপিএলে কোনও দলের হেড কোচ হতে পারেন। দুই বছরের চুক্তিতে কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের দায়িত্ব নিতে পারেন মহা-তারকা। এর আগে আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালস এবং দিল্লি ডেয়ারডেভিলস দলের হেড কোচ ছিলেন তিনি। চেনা জগতেই ফিরতে চলেছেন তিনি।
জাতীয় দলে কোচিংয়ে কেন রাজি হচ্ছেন না দ্রাবিড়?
দ্রাবিড় আগেও জাতীয় দলের হেড কোচ হওয়া নিয়ে সংশয় ছিলেন একটাই কারণে, তাহলে তাঁকে পরিবারের সঙ্গে বছর ভর দূরে কাটাতে হবে। এনসিএ-র হেড কোচ হওয়ায় সুবিধা জনক ছিল তাঁর জন্য। বেঙ্গালুরুতে পরিবারের সঙ্গেই পুরো সময় কাটাতে পারতেন তিনি। জাতীয় দলের হেড কোচ হওয়ার পর তিনি পরিবারের সান্নিধ্য মিস করেছেন। বারবার একাধিকবার তিনি এই কথা জানিয়েছেন।
জাতীয় দলের পুনরায় হেড কোচ হলে সেই একই সমস্যায় পড়তে হবে তাঁকে। তাই তিনি বোর্ডের প্রস্তাব নাকচ করে দিতে চলেছেন। তবে আইপিএল যেহেতু মাত্র কয়েক মাসের বিষয়। সেক্ষেত্রে দ্রাবিড়ের কোনও সমস্যা হবে না। আইপিএলের কয়েক সপ্তাহ বাদ দিয়ে দ্রাবিড় পরিবারকে পুরো সময়-ই দিতে পারবেন। তাই জাতীয় দলকে 'না' করে আইপিএলে 'হ্যাঁ' বলার ক্ষেত্রে দ্রাবিড় আর্থিক বিষয় নয়, মাথায় রেখেছেন পরিবারকে সময় দেওয়ার বিষয়টিই।