কেকেআর: ২০০/৫
আরসিবি: ১৭৯/৮
প্ৰথমে ব্যাট হাতে জেসন রয়-নীতিশ রানা। তারপর বল হাতে বরুণ চক্রবর্তী-সুয়াশ শর্মা। চার ম্যাচ হারের পর কেকেআর জয়ে ফিরল। কিং কোহলির দলের বিরুদ্ধে চলতি সিজনে ২-০ করল নাইটরা। প্রথম লেগে ইডেনে ঘরের মাঠে আরসিবিকে বিধ্বস্ত করেছিল নাইট রাইডার্স। এবার চিন্নাস্বামীতেও দাপট দেখিয়ে ২১ রানে জিতল কেকেআর। সেই সঙ্গে প্লে অফে ওঠার আশাও বাঁচিয়ে রাখল।
প্ৰথমে ব্যাট করে কেকেআর স্কোরবোর্ডে ২০০ তুলেছিল। সেই রান চেজ করতে নেমে আরসিবি নির্ধারিত ২০ ওভারে -র বেশি তুলতে পারল না। রান তাড়া করতে নেমে ঝড়ের গতিতে শুরু করে কেকেআর। উমেশ যাদবের দ্বিতীয় ওভারের চার-ছক্কার বন্যা বইয়ে দেন দু-প্লেসিস।
তৃতীয় ওভারেই ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে দলে আসা সুয়াশ শর্মাকে আক্রমণে নিয়ে আসেন নীতিশ রানা। সেই ওভারেই দু-প্লেসিসকে তুলে নিয়ে বড়সড় ঝটকা দেন মিস্ট্রি স্পিনার। পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই শাহবাজ আহমেদ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে ফিরিয়ে দেন সুয়াশ, বরুণ চক্রবর্তী। পাওয়ার প্লে-র মধ্যে তিন উইকেট খুঁইয়ে বসে ধীরে ধীরে ম্যাচ থেকে হারিয়ে যায় লাল জার্সির দল।
কোহলি একপ্রান্তে টিকে থেকে অনবদ্য হাফসেঞ্চুরি করে যান। মহীপাল লোমরোর সঙ্গে ৫৫ রানের পার্টনারশিপে কেকেআরকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছিলেন কিং কোহলি। তবে পরপর দু-ওভারে রাসেল এবং বরুণ চক্রবর্তী কোহলি এবং মহীপাল লোমরোর কে ফিরিয়ে দেওয়ার সঙ্গেই কার্যত ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে যায়। শেষদিকে দীনেশ কার্তিক ১৮ বলে ২২ করলেও কাজে আসেনি।
ব্যাট হাতে চরম ব্যর্থ হলেও রাসেল এদিন মোক্ষম সময়ে কোহলি এবং হাসারাঙ্গাকে শিকার করে যান। বরুণ চক্রবর্তী ৩ উইকেট শিকার করেন মাত্র ২৭ রানের বিনিমিয়ে। সুয়াশের সংগ্রহেও জোড়া উইকেট।
টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন কোহলি। আর কেকেআরকে প্রথমেই দারুণ গোড়াপত্তন উপহার দিয়ে যান দুই ওপেনার। চলতি সিজনে যা প্ৰথমবার। জেসন রয়ের সঙ্গে এন জগদীশনকে নামানো হয়েছিল। 'ধর তক্তা মার পেরেক' ব্যাটিংয়ে শুরুতেই হৈচৈ ফেলে দেন জেসন রয়। শাহবাজ আহমেদের এক ওভারে ২৫ রান তোলেন ইংরেজ ওপেনার। অন্যপ্রান্তে জগদীশন ঠিকমত ব্যাটে বলে করতে না পারলেও শিট আঙ্করের ভূমিকা পালন করে যান যথাযথভাবে।
ওভার পিছু নয়ের ওপর রান রেট ছুটছিল তরতরিয়ে। তবে দশম ওভারে কেকেআর জোড়া ঝটকা হজম করে। একই ওভারে বৈশখ বিজয় কুমার দ্বিতীয় এবং শেষ বলে আউট করে দেন ক্রিজে টিকে যাওয়া দুই ওপেনারকে। জেসন রয় প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ২৯ বলে ৫৬ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলে যান। জগদীশন আবার সমসংখ্যক বলে ২৭ করেন।
দুই ওপেনার আউট হওয়ার পর কেকেআর ব্যাটিংয়ের রান তোলার গতি বজায় রাখেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার (২৬ বলে ৩১) এবং ক্যাপ্টেন রানা (২১ বলে ৪৮)। দুজনে মাত্র ৪৪ বলে ৮০ রানের পার্টনারশিপে দলকে এগিয়ে দেন। ১৮তম ওভারে দু-জনকেই ফেরান হাসারাঙ্গা। শেষ দু ওভারে কেকেআর স্কোরবোর্ডে আরও ৩০ রান যোগ করে যায় রিঙ্কু সিং (১০ বলে ১৮) এবং ডেভিড ওয়াইজের (৩ বলে ১২) ব্যাটে ভর করে।