রাজস্থান রয়্যালস: ২০২/৫
সিএসকে: ১৭০/৬
জয়ের হ্যাটট্রিক করে খেলতে নেমেছিল সিএসকে। জয়পুরে চেন্নাইয়ের জয়রথ থামিয়ে দিল সঞ্জু স্যামসনের রাজস্থান রয়্যালস। যারা জোড়া হার নিয়ে ঘরের মাঠে খেলতে নেমেছিল। রাজস্থানের ২০২/৫-এর জবাবে চেন্নাই বৃহস্পতিবার তুলল ১৭০/৬। রাজস্থানের জয় ৩২ রানে।
বড় টার্গেট চেজ করতে নেমে সিএসকের শুরুটা খারাপ হয়নি। রুতুরাজ গায়কোয়াড বড় রানের রিংটোন সেট করে দিয়েছিলেন। তবে অন্য ওপেনার ডেভন কনওয়ে ১৬ বলে ৮ করে যান। পাওয়ার প্লে-র একদম শেষ বলে কনওয়েকে ফেরান জাম্পা। রাহানে ঝলক দেখালেও এদিন ১৫-র বেশি করতে পারেননি। ১১তম ওভারে অশ্বিন একই ওভারে রাহানে, রায়ডুকে ফিরিয়ে রাজস্থানকে ৭৩/৪-এ ধসিয়ে দিয়েছিলেন।
এরপরে পুরোটাই শিবম দুবের মরিয়া ব্যাটিং। মঈন আলির সঙ্গে ৫১ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে জয়ের আশা জাগিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তবে অন্যপ্রান্ত থেকে সেভাবে জাদেজারা (১৫ বলে ২৩) সাহায্য করতে পারেননি। কুলদীপ যাদব, সন্দীপ শর্মা, জাম্পারা মাথা ঠান্ডা রেখে সিএসকেকে রানের বেশি তুলতে দেয়নি। শিবম দুবে এদিন হাফসেঞ্চুরির হ্যাটট্রিক করে গেলেন। শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ৩৩ বলে ৫২ করে গেলেন। রাজস্থানের হয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন জাম্পা। অশ্বিনের দখলে ২ উইকেট।
টসে জিতে জয়পুরে প্ৰথমে ব্যাটিং নিয়েছিল রাজস্থান ক্যাপ্টেন সঞ্জু স্যামসন। আর রয়্যালসদের হয়ে ব্যাটে ঝড় তুললেন যশস্বী জয়সোয়াল। মাত্র ২৬ বলে হাফসেঞ্চুরি করে গিয়েছিলেন তিনি। রাজস্থান যে পাওয়ার প্লে-তে দাপট দেখাল, তার নেপথ্যে যশস্বীর ব্যাট। প্ৰথম ছয় ওভারেই বাটলার-জয়সোয়াল মিলে ৬৪ তুলে দেন স্কোরবোর্ডে।
বাটলার জয়সোয়ালের সঙ্গে পার্টনারশিপে সেকেন্ড ফিডলের ভূমিকা পালন করে যান। তবে বাটলার বেশিক্ষণ টেকেননি। বাটলার (২১ বলে ২৭), স্যামসন (১৭ বলে ১৭) অল্প সময়ের ব্যবধানে আউট হয়ে যান। জয়সোয়াল শেষ পর্যন্ত ৪৩ বলে ৭৭ করে আউট হয়ে যান। জয়সোয়াল আউট হয়ে যাওয়ার পর রাজস্থানের রান তোলার গতি কিছুটা কমে যায়।
মাঝের ওভারে রান রেটের গতি কমে গেলেও রয়্যালসদের হয়ে ডেথ ওভারে দারুণ ব্যাটিং করে যান ধ্রুব জুরেল (১৫ বলে ৩৪) এবং দেবদূত পাড়িক্কল (১৩ বলে ২৭)। দুজনে পঞ্চম উইকেটের পার্টনারশিপে ২০ বলে ৪৮ যোগ করে যান। শেষ ৫ ওভারে রাজস্থান ৬৩ তুলেছিল।