/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/11/icc.jpg)
আইসিসি (টুইটার)
আমিরশাহি ক্রিকেটের দুর্নীতি সংক্রান্ত নিয়ম ভেঙেছিলেন। তাই আইসিসির তরফে ছয় বছরের নিষেধাজ্ঞা চাপানো হল ওয়েস্ট ইন্ডিজের মার্লন স্যামুয়েলসের ওপর।
এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ডের ক্রিকেট দুর্নীতির নিয়ম ভাঙতেই আইসিসির তরফে দোষী সাব্যস্ত করা হয় ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার মার্লন স্যামুয়েলসকে। চলতি বছরের অগাস্টেই স্যামুয়েলসেকে দোষী সাব্যস্ত করা ট্রাইবুনালে। আর নভেম্বরের ১১ তারিখ থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হল।
আইসিসির জেনারেল ম্যানেজার আলেক্স মার্শাল এক বিবৃতিতে বলেছেন, "স্যামুয়েলস দুই দশক ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলেছেন। এই সময় পর্বে তিনি আইসিসির অজস্র দুর্নীতি বিরোধী সেশনে অংশ নিয়েছেন। তিনি তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পর্কে ভালোই ওয়াকিবহাল। উনি এখন অবসর প্রাপ্ত হলেও দোষের সময় উনি সক্রিয় ক্রিকেটার ছিলেন। ছয় বছরের এই নিষেধাজ্ঞা আসলে ভবিষ্যতে যাঁরা আইসিসির নিয়ম ভঙ্গ করতে চায়, তাঁদের কাছে কড়া বার্তা পৌঁছে দেবে।"
Marlon Samuels has been banned for six years after breaching the Emirates Cricket Board's anti-corruption code pic.twitter.com/b0VX7qRd9I
— Broken Cricket (@BrokenCricket) November 23, 2023
কী নিয়ম ভেঙেছিলেন স্যামুয়েলস?
জানা যাচ্ছে, আবু ধাবি টি২০ লিগে কর্ণাটক তাসকার্স-এর জার্সিতে খেলার সময় দুর্নীতি করেছিলেন। অন্যায্য সুযোগ নিয়ে পরবর্তীতে তদন্তকারী আধিকারিকদের কাছ থেকে বিষয়টি গোপন করে যান। ঘটনাচক্রে একই অপরাধে ১৫ বছর আগেও শাস্তি পেতে হয়েছিল তাঁকে। সেই সময়েও তাঁকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হতে হয়েছিল।
আইসিসির তরফে যে যে অভিযোগ আনা হয়েছে মার্লন স্যামুয়েলস-এর বিপক্ষে:
আর্টিকেল ২.৪.২: অংশগ্রহণকারী বা ক্রিকেট খেলাকে অসম্মানিত করতে পারে এমন পরিস্থিতিতে করা বা দেওয়া হয়েছিল এমন কোনও উপহার, অর্থপ্রদান, আতিথেয়তা বা অন্যান্য সুবিধার প্রাপ্তির কথা দুর্নীতি দমন আধিকারিকের কাছে জানাতে ব্যর্থ হলে…
আর্টিকেল ২.৪.৩: মার্কিন ডলার ৭৫০ বা তার বেশি মূল্যের আতিথেয়তার প্রাপ্তি দুর্নীতি দমন আধিকারিকের কাছে জানাতে ব্যর্থ হলে…
আর্টিকেল ২.৪.৬: তদন্তকারী আধিকারিকদের তদন্তে সহযোগিতা করতে ব্যর্থ হলে…
আর্টিকেল ২.৪.৭: তদন্তের কাজে সহায়তা করতে পারে, এমন তথ্য তদন্তকারী আধিকারিকের থেকে গোপন করা হলে…
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে জোড়া টি২০ ওয়ার্ল্ড কাপ জয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিনি। ২০১২ এবং ২০১৬-য় টি২০ ওয়ার্ল্ড কাপে দলের সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলেন। ২০১৮-য় শেষবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলেন। জাতীয় দলের হয়ে না খেললেও গত কয়েকবছর ধরেই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলছিলেন তিনি। এখন অবশ্য পুরোপুরি অবসরে তিনি। তাই আইসিসির এই নিষেধাজ্ঞায় তাঁর আদতে কোনও ক্ষতিই হবে না।