প্ৰথম ক্রিকেটার হিসেবে ২০ কোটি প্লাস দাম পেয়ে রেকর্ড করেছিলেন প্যাট কামিন্স। আইপিএলের ইতিহাসে সবথেকে দামি তারকার মুকুট পড়েছিলেন। তবে ইতিহাস ভাঙল মাত্র ১ ঘন্টাতেই। স্বদেশীয় মিচেল স্টার্ক মাত্র এক ঘন্টা পরেই কেকেআরে নাম লেখালেন ২৪.৭৫ কোটিতে। ইতিহাস নিয়ে ছেলেখেলা করে কেকেআর তুলে নিল সদ্য বিশ্বকাপজয়ী অস্ট্রেলিয়ানকে।
কেকেআরের জার্সিতে স্টার্ক ২০১৫-য় খেলেছিলেন। তারপর এদিনের নিলামের পর পুরোনো ফ্র্যাঞ্চাইজিতে রাস্তা খুঁজে পেলেন তিনি। দুবাইয়ের কোকাকোলা এরেনায় স্টার্কের বেস প্রাইস ছিল ২ কোটি টাকা। নিলাম সঞ্চালক মল্লিকা সাগর অজি স্পিডস্টারের নাম ঘোষণা করার পরেই তাঁকে নিতে আসরে নামে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। যোগ দেয় দিল্লি ক্যাপিটালসও। দুজনের দর কষাকষি ৯.৪ কোটি পেরোনো মাত্রই বিড করতে শুরু করে গুজরাট টাইটান্স। এরপরেই রণে ভঙ্গ দেয় মুম্বই। এবং আসরে প্রবেশ করে কেকেআর।
গম্ভীর যেন আদা জল খেয়ে নেমেছিলেন অজি তারকাকে দলে নেওয়ার জন্য। এরপরে ক্রমাগত প্যাডেল উঠেছে। স্টার্কের দাম বেড়েছে চড়চড় করে। কামিন্সের পর দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ২০ কোটির গন্ডি পেরোনোর পর উৎসাহের স্রোত বয়ে যায় গোটা এরেনা জুড়ে। তারপর দেখার ছিল স্টার্ক স্বদেশীয় ক্যাপ্টেনের রেকর্ড ভাঙতে পারেন কিনা। শেষে সেটাই হয়েছে। কেকেআর দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই চালিয়ে রেকর্ড পরিমাণ অর্থ খরচ করেছেন।
কেকেআর এর আগে স্টার্ককে কেনার জন্য ৯.৪০ কোটি টাকা খরচ করেছিল। তবে সেই সিজনে পিঠে স্ট্রেস ফ্র্যাকচারের কারণে খেলতে পারেননি। ২০১৫-র পর স্টার্ক আবার নিলামের টেবিলে ফিরলেন। এবং ফিরেই বাজিমাত।
অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ পেসার। আরসিবির জার্সিতে এর আগে দুই সিজন খেলেছিলেন। ২৭ ম্যাচে ৩৪ উইকেটও শিকার করেন। কিছুদিন আগেই জাতীয় দলের হয়ে বিশ্বকাপ জিতেছেন স্টার্ক। তারপরেই কেরিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া খবর পেলেন।