এক বছর আগেও জাতীয় স্তরে সম্ভাবনাময় পেসারদের ব্র্যাকেটে রাখা হত তাঁকে। তবে একটা মরশুম যেন দুঃস্বপ্নের মত কেটেছে। দিল্লি ক্যাপিটালসের চেতন সাকারিয়া এবার খেলবেন কেকেআরের হয়ে।
দিল্লিতে প্রত্যাশা মত পারফর্ম করতে পারেননি। রাজস্থানে খেলার সময় তুখোড় ছন্দে ছিলেন। জাতীয় দলে ডাক-ও পেয়েছিলেন। তবে দিল্লিতে ফর্মের সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি।
কেকেআর সদ্য সমাপ্ত দুবাইয়ের নিলাম থেকে চেতন সাকারিয়াকে কিনেছে বেস প্রাইস ৫০ লক্ষ টাকায়। নাইটদের প্ৰথম একাদশে ২৪.৭৫ কোটি দাম পাওয়া মিচেল স্টার্কের সঙ্গী হতে দেখা যেতে পারে তাঁকে ইডেন গার্ডেন্সে।
তবে কেকেআরে নাম লিখিয়ে তারকা পেসার বলে দিয়েছেন, দিল্লি যে তাঁকে রিলিজ করে দেবে, এই বিষয়ে তিনি নিশ্চিত ছিলেন। তবে তিনি আশাহত। মেনে নিয়েছেন, পারফর্ম করতে না পারার কারণেই মুকেশ কুমার, ইশান্ত শর্মা, খলিল আহমেদদের সঙ্গে লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়েছেন।
স্পোর্টসক্রীড়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চেতন সাকারিয়া জানিয়ে দিয়েছেন, "আমি শকড হয়েছি এমনটা নয়। তবে কিছুটা হতাশ তো হয়েইছি। দলের দৃষ্টিভঙ্গি বিচার্য হলে দিল্লি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমার তরফ থেকে যে মাত্রায় পারফরম্যান্স প্রত্যাশিত ছিল, সেটা করতে পারিনি। নিজের দামের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ পারফরম্যান্স মেলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছি। ওঁদের হাতে বেশ কয়েকজন ভারতীয় অপশন রয়েছে- ইশান্ত শর্মা, খলিল আহমেদ, মুকেশ ভাই। আমি ব্যর্থ হওয়ার পর পিছিয়ে গিয়েছি ক্রমপর্যায়ে।"
আপাতত তিনি এমন এক দলের সন্ধানে ছিলেন যেখানে নিজের দাম যাই হোক না কেন প্রমাণ করার সুযোগ পাবেন। কেকেআর সেই হিসাবে একদমই যথার্থ। মনে করছেন তিনি। জানিয়ে দিয়েছেন, "নিলাম চলার সময় একটাই ইচ্ছা ছিল। এমন একটা দল চাই, যেখানে নিজেকে প্রমাণ করার সর্বোচ্চ সুযোগ পাবেন। আমি স্রেফ গেমটাইম চাইছিলাম। আইপিএলে ভারতীয় বোলারদের স্লট পূরণের জন্য সেরকম দল রয়েছে দুটো। কেকেআর তাদের মধ্যে একটা। অর্থ নয়, এমন একটা দল চাইছিলাম, যেখানে পর্যাপ্ত ম্যাচ খেলার সুযোগ পাব।"
কয়েক দিন আগেই বোর্ডের তরফে ভুল করে চেতন সাকারিয়াকে ত্রুটিপূর্ণ ডেলিভারির তালিকায় ঢুকিয়ে দিয়েছিল কেকেআর। শেষে অবশ্য সেই বিভ্রান্তি এড়িয়ে বোর্ডের তরফে ভুল স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। সেই চেতন সাকারিয়া কি এবার বেগুনি জার্সিতে পুনর্জন্ম ঘটাবেন, সময়ই উত্তর দেবে।