গত বছরেও অস্ট্রেলিয়ায় মালির কাজ করতেন। তবে মঙ্গলবারের নিলাম ভুলিয়ে দিয়েছে সেই দুঃখের জীবনের স্মৃতি। গুজরাট টাইটান্স ১০ কোটি টাকায় কিনে নিয়েছে স্পেন্সার জনসনকে। যে সময়ে ভাবা হচ্ছিল উঠতি তরুণ অজি প্রতিভা হয়ত শেষ হয়ে যাবে পর্যাপ্ত সুযোগের অভাবে, তখনই আইপিএলের নিলাম দুনিয়া বদলে দিয়েছে স্পেন্সার জনসনের।
স্বপ্নের নিলামের পর অজি তারকা উচ্ছ্বসিত হয়ে বলে দিয়েছেন, "আট মাস আগেও আমার কাছে রাজ্য স্তর অথবা বিগ ব্যাশ লিগের চুক্তি ছিল না। আমি ল্যান্ডস্কেপে বৃক্ষ রোপণের কাজ করতাম। এখন পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গেল।"
২০১৭-য় দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার হয়ে অভিষেকের সময় পায়ে স্ট্রেস ফ্র্যাকচারের কবলে পড়েন। টানা তিন বছর এই কারণে মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছিল। সেই সময়েই যাবতীয় ক্রিকেট চুক্তি হারাতে হয় তাঁকে।
তবে তাঁর প্রত্যাবর্তন হয় বিগ ব্যাশ লিগে। অস্ত্রোপচার এবং রিহ্যাব পর্ব কাটানোর পর দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে পুনরায় চুক্তিবদ্ধ হন ২০২২-এ। তারপরেই।চলতি বছরের জানুয়ারিতে বিগ ব্যাশ লিগে খেলেন ব্রিসবেন হিট-এর হয়ে। আর এই সিজনেই ধারাবাহিকভাবে ১৫০ প্লাস গতিতে বল করে সকলের নজরে উঠে আসেন।
বিগ ব্যাশ লিগের খেলা ফলো করেই আশিস নেহরা স্পেন্সারকে গুজরাটে সই করানোর জন্য আগ্রহী হন। আপাতত অজি এই তারকাই গুজরাট ফ্র্যাঞ্চাইজিতে রশিদ খানের পর দ্বিতীয় মূল্যবান ক্রিকেটার। বিগ ব্যাশ লিগের সাফল্যের পর হান্ড্রেড-এও খেলেন তিনি। এরপরে অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচকরা জাতীয় দলের ক্যাপ তুলে দিতে আর দ্বিধা করেননি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে স্পেন্সার জনসন ভারতের বিপক্ষেও খেলেছেন। গত অগাস্টে ইন্দোরে ওয়ানডে খেলেন তিনি। ৮ ওভারে ৬১ রান দিয়ে কোনও উইকেট শিকার করতে পারেননি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দুটো টি২০ খেলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।
আইপিএলে বিরাট চুক্তি দুনিয়া বদলে দিয়েছে। তবে জনসনের কাছে সবথেকে মূল্যবান মায়ের মুখে হাসি ফোটাতে পেরে। বিগ ব্যাশে খেলার ফাঁকেই জনসন জানিয়েছেন, "এডিলেডে ফেসটাইমে মায়ের মুখে হাসি দেখতে পাওয়াটা সবথেকে সন্তোষজনক। এটা শুধু আমার কাছে নয়, গোটা পরিবারের কাছেই স্পেশাল মুহূর্ত।"