কী কারণে স্টার্ক, কামিন্স কোটি কোটি টাকায় আইপিএলে বিক্রি হল, ভেবেও কুলকিনারা পাচ্ছেন না অস্ট্রেলিয়ার পূর্বতন পেসার জেসন গিলেসপি। গত মাসেই অস্ট্রেলিয়াকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করা অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে হায়দরাবাদ কিনেছে ২২.৫০ কোটি টাকা খরচ করে। নিলামে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, রাজস্থান রয়্যালস যে পরিমাণ অর্থ নিয়ে এসেছিল, তার থেকেও বেশি অর্থ খরচ করে কামিন্সকে কিনেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। সেই সঙ্গে আইপিএলের ইতিহাসে প্ৰথম ক্রিকেটার হিসেবে নিজের বেতন ২০ কোটির গন্ডি পার করে নিয়েছেন অজি অধিনায়ক।
কামিন্সের বেস প্রাইস ছিল ২ কোটি টাকা। তবে তাঁর নাম টেবিলে ওঠার পর থেকেই কার্যত মল্লযুদ্ধ বেঁধে যায় মুম্বই, আরসিবি, চেন্নাই, হায়দরাবাদের মধ্যে। জেসন গিলেসপি সেন রেডিওয় বলেছেন, "প্যাট একজন কোয়ালিটি বোলার এবং দক্ষ অধিনায়ক। সেটা আমরা সকলেই দেখেছি। তবে টি২০ মোটেই ওঁর সেরা ফরম্যাট নয়। আমার মনে হয়, ও একজন টেস্ট বোলার। ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয়েছে, টেস্ট ক্রিকেট ওঁর পছন্দের ফরম্যাট।
৫০ টি২০ ম্যাচে কামিন্সের উইকেট সংখ্যা ৫৫টি। গড় ২৩.৫৪। ইকোনমি রেট ৭.৩৭। তবে গিলেসপি জানাচ্ছেন, "প্যাট নিঃসন্দেহে দারুণ টি২০ বোলার। সেই বিষয়ে কোনও সন্দেহই নেই। তবে আইপিএলের ওভারগুলো ওঁর জন্য যথেষ্ট বড় হতে চলেছে।" কামিন্সের জাতীয় দলের বোলিং সতীর্থই আইপিএলে রেকর্ড গড়েছেন ২৪.৭৫ কোটি টাকা দর পেয়ে। স্টার্কের ক্ষেত্রে অবশ্য নিঃসংশয় অজি গ্রেট।
স্টার্ক শেষবার আইপিএলে খেলেন সেই ২০১৫-য়। আট সিজন আগে। ভারতে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে খেলার তুলনায় স্টার্ক বরাবর জাতীয় দলে খেলাকে প্রাধান্য দিয়েছেন। মাত্র দুই সিজন খেলেছেন আইপিএলে। ২৭ ম্যাচে ৩৪ উইকেট নিয়েছেন। গড় ২০.৩৮।
তা সত্ত্বেও গিলেসপি মনে করছেন কেকেআর উপকৃত-ই হবে স্টার্ককে পেয়ে। বলেছেন, "ও দারুণ রিক্রুট। আমরা জানি এটা অনেকটা অর্থ। তবে আইপিএল বরাবর-ই ধনী টুর্নামেন্ট। মিচের জন্য ভালো লাগছে। টুর্নামেন্ট বাঁ হাতি পেসারদের কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভাবছে, সেটাই নিলামে বোঝা গিয়েছে।"