CSK T20: ক্রিকেটার এমএস ধোনি চেন্নাই সুপার কিংসের (সিএসকে) প্রতিটি ভক্তের হৃদয়ে রাজত্ব করেন। তবে ১০৩ বছরের শ্রী রামদাসের মনে ধোনির জন্য একটি বিশেষ জায়গা আছে। গত ১৩ বছর ধরে ডায়াবেটিসের সঙ্গে লড়াই করছেন শ্রী রামদাস। শরীর যতই খারাপ থাকুক, সিএসকের এই ভক্ত কিন্তু, দলের আইপিএলের একটা ম্যাচও মিস করেন না। দলের খেলা হলেই টেলিভিশনের সামনে ঠায় বসে থাকেন। এমনকী চেন্নাইয়ের কী করা উচিত, কী করলে ভালো হবে, সেসবও অভিজ্ঞ কোচের মত নির্বিবাদে বলে যান।
ওল্ড ইজ গোল্ড। এইটা যদি নীতি হয়, তবে একজন শতায়ুর টেস্ট ম্যাচের প্রতি বেশি ভালোবাসা থাকা উচিত। কিন্তু, রামদাস যেন ১০৩ নন। মানসিকভাবে ১৯-২০। তাঁর প্রিয় ফরম্যাট টি২০। তাঁর ছেলে কীর্তি ভাসান বলেন, 'অপ্পা দলের (সিএসকে) সব ছেলেদের চেনেন। যদি এখনও তাঁর চলাফেরার ক্ষমতা থাকত, তবে ধোনি যে সব জায়গায় খেলেছেন, পারলে সেসব জায়গায় একবার যেতেন। একবার তো আমাকে বলেও বসেছিলেন, হেঁটে দিল্লি চলে যাবেন। তাঁর ফিটনেসের জন্যই এই বয়সেও তিনি ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছেন। প্রতিদিনের কাজকর্মে কারও সাহায্য নেন না। সব নিজে করেন। আমার মা এতটা ফিট না। মায়ের বয়স এখন ৯৩। মা-ও অনেকদিন থেকে ডায়াবেটিসে ভুগছে।'
ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের প্রেশার অনেকসময় বেড়ে যায়। কিডনির কার্যকারিত ব্যাহত হয়। রামদাসকে তাই দিনে একটা ওষুধ খেতে হয়। কিন্তু, ওই পর্যন্তই। গুচ্ছেক ওষুধের দরকার লাগে না। মাঝে মধ্যে আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় একটু সর্দি, কাশি লেগে যায়। তখন ওষুধ খেতে হয়, ব্যাস্! এই বয়সেও এভাবে শরীরকে কী করে ধরে রাখছেন? এর পিছনে রামদাস কৃতিত্ব দেন তাঁর নিয়মিত জলপান করার অভ্যাস, আর ডায়েটে ফলের ওপর জোর দেওয়াকে।
আরও পড়ুন- ভোটের সময় কোথায় কোথায় IPL! বড় ঘোষণায় উল্লাসের আপডেট BCCI-এর
এই শতায়ুর চিকিৎসক চেন্নাইয়ের ডা. মোহন'স ডায়াবেটিস স্পেশালিটিস সেন্টারের চেয়ারম্যান ড. ভি মোহন। তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, 'বার্ধক্যজনিত কারণে তাঁর (রামদাস) ডায়াবেটিস হয়েছে। বেশি বয়সিদের টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। কারণ এই বয়সে ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়। পাশাপাশি অগ্ন্যাশয়ের কার্যকারিতাও ব্যাহত হয়। কিন্তু তিনি (রামদাস) একদম আলাদা। উনি আমার ডায়াবেটিস আক্রান্ত সবচেয়ে বয়স্ক রোগী। সুশৃঙ্খল জীবনের জন্যই তিনি এখনও কর্মক্ষম।'