Dinesh Karthik set to retire after this edition: চলতি মরশুমে আইপিএলের পরই অবসর নিতে চলেছেন একসময়ে নাইট রাইডার্সের নেতৃত্ব দেওয়া সুপারস্টার দীনেশ কার্তিক! শুধু তাই নয়। এরপরে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও ইতি টানতে চলেছেন তিনি। টিম ইন্ডিয়ার এই তারকা খুলে রাখতে চলেছেন ব্যাট-প্যাড।
চলতি মাসেই আইপিএল শুরু। গত কয়েক বছরের মত এবছরও কার্তিক খেলছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু বা আরসিবির হয়ে। এবারের আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচ হবে ২৩ মার্চ। ওই ম্যাচে গতবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে চিপকের মাঠে খেলবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।
আর মাস দুয়েক পরে, জুনেই কার্তিক ৩৯ বছরে পা দেবেন। আর, তারপরই সিদ্ধান্ত নেবেন নিজের আন্তর্জাতিক কেরিয়ার নিয়ে। দিল্লি ডেয়ারডেভিলস থেকে (দিল্লি ক্যাপিটালস) কার্তিক তাঁর আন্তর্জাতিক কেরিয়ার শুরু করেছিলেন। ২০০৮-এ আইপিএল চালু হয়েছে। তারপর থেকে বিসিসিআইয়ের এই টুর্নামেন্টে প্রতিটা মরশুমেই দীনেশ অংশ নিয়েছেন। তবে, তিনি একা নন। তাঁর মত আরও ছয় খেলোয়াড় আছেন, যাঁরা এখনও পর্যন্ত প্রতিটা আইপিএলে খেলেছেন।
তালিকায় আছেন ধোনি, কোহলিও। বাকিরা হলেন- রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান, ঋদ্ধিমান সাহা ও মনীশ পাণ্ডে। পরিসংখ্যান বলছে আইপিএলের গত ১৬ মরশুমে কার্তিক মাত্র দুটি ম্যাচ খেলেননি। তার মধ্যে প্রথমটা মিস করেছিলেন ২০০৮-এ। সেবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে খেলেননি। দ্বিতীয়টি হল ২০২৩-এ। সেবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে লিগ ম্যাচে বসেছিলেন কার্তিক।
গত বছর, ২০২৩ আইপিএলেও তেমন কিছু করে দেখাতে পারেননি। গড় ছিল ১১-এর সামান্য বেশি। মোট রান ১৪০। তার আগের বছর ২০২২-এ অবশ্য দুর্দান্ত খেলেছিলেন। ওই বছর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স কার্তিককে ৫.৫ কোটি টাকায় কিনেছিল। অর্থাৎ আনুমানিক প্রায় ৬,৬২,০০০ মার্কিন ডলারে। সেবছর প্রধানত ফিনিশারের ভূমিকা পালন করেছিলেন তামিলনাড়ুর এই খেলোয়াড়। তাঁর পাওয়ার হিটিং ১৬ ম্যাচে এনে দিয়েছিল ৩৩০ রান। গড়ে ৫৫। স্ট্রাইক রেট ছিল ১৮৩.৩৩। আর, এর সুবাদে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে হেরেও সেবছর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স প্লে-অফে পৌঁছয়।
তবে, আইপিএলে দুর্দান্ত ফর্ম থাকলেও অস্ট্রেলিয়ায় ২০২২ টি২০ বিশ্বকাপে কার্তিক কিছু করে দেখাতে পারেননি। তিন ইনিংসে মাত্র ১৪ রান করেন। সেবছর টি২০ বিশ্বকাপে ভারত সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে যায়। আর, ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন হয়। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সে এটা কার্তিকের টানা তৃতীয় বছর। এর আগে তিনি ২০১৫-য় ওই দলে খেলেছিলেন। এখন পর্যন্ত তিনি ছয়টি আইপিএল খেলেছেন। এর মধ্যে ডেয়ারডেভিলসের হয়ে খেলেছেন ২০০৮ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত। কিংস ইলেভেন পঞ্জাব বা পঞ্জাব কিংসের হয়ে খেলেছেন ২০১১ সালে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলেছেন ২০১২-১৩য়। গুজরাট লায়ন্সের হয়ে ২০১৬-১৭য়। নাইট রাইডার্সের হয়ে ২০১৮-২১এ। আর, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলেছেন ২০১৫ সালে। সেখানেই ২০২২ থেকে টানা এখনও পর্যন্ত খেলছেন। মোট ২৪০ আইপিএল ম্যাচে কার্তিকের গড় ২৬, মোট ৪,৫১৬ রান। ২০টি হাফ সেঞ্চুরি আছে। উইকেটরক্ষক হিসেবে, ক্যাচ ধরেছেন ১৩৩টি। স্টাম্পিং করেছেন ৩৬ ম্যাচে। এই ব্যাপারে তিনি তালিকায় ধোনির পরেই, আছেন দ্বিতীয় স্থানে।
আরও পড়ুন- ১০০ বছরে এরকম পারফরম্যান্স একবার-ই হয়! কুলদীপের আঙুলে ফের ক্ষত-বিক্ষত ইংল্যান্ড
রঞ্জিতে তামিলনাড়ুর এই অধিনায়ক আইপিএলেও নেতৃত্ব দিয়েছেন। ডেয়ারডেভিলসের অধিনায়ক ছিলেন ছয় বার। ২০১৮-২০, মোট ৩৭টি ম্যাচে নাইটের অধিনায়কত্ব করেছেন। তাঁর অধিনায়কত্বের পরিসংখ্যান হল ২১ ম্যাচে জয় এবং ২১ ম্যাচে পরাজয়। কার্তিক ঠিক করে নিয়েছেন, খেলা ছাড়ার পর ধারাভাষ্যকার হিসেবে যোগ দেবেন। ইতিমধ্যে তার কিছুটা অভিজ্ঞতাও সঞ্চয় করে ফেলেছেন। ২০২১ সালে ভারত ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে তাঁকে ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে। চলতি ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজেও তিনি ধারাভাষ্যকার হিসেবে কাজ করছেন।