আইপিএল নিলামে রিকি পন্টিং এবং ট্রেভর বেলিসের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ অস্ট্রেলিয়ান মিডিয়া। আইপিএল কোচের দায়িত্ব নেওয়া পন্টিং এড়িয়ে গিয়েছেন ধারাভাষ্যকারের দায়িত্ব। আর, আইপিএল নিলামের জন্য বেলিস তাঁর দল ছেড়ে গিয়েছেন। সেটাই ক্ষুব্ধ করেছে অস্ট্রেলিয়ান মিডিয়াকে। সেই সূত্র ধরেই অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান কার্যনির্বাহী টড গ্রিনবার্গ রবিবার বলেছেন, সেপ্টেম্বরে বিসিসিআইয়ের দ্বিতীয় আইপিএল উইন্ডো নিয়ে জল্পনা 'বিপর্যয় সৃষ্টি' করতে চলেছে।
পাকিস্তান টেস্টের মাত্র তিন দিন আগে রিকি পন্টিং চ্যানেল-৭ এর জন্য ধারাভাষ্য দিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ জেতার পর অবশ্য পন্টিংকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার বিবিএল কোচ ট্রেভর বেলিস তাঁর দল সিডনি থান্ডারের খেলার সময় অনুপস্থিত ছিলেন। পন্টিং এবং বেলিস, দু'জনেই ১৯ ডিসেম্বর আইপিএল নিলামের জন্য দুবাই উড়ে গিয়েছেন।
কোড স্পোর্টস প্রথমবার তাদের রিপোর্টে জানিয়েছিল, যে আইপিএল নিলামের জন্যই পন্টিং ম্যাচ এড়ালেন। তারা রিপোর্টে জানিয়েছে, পন্টিংয়ের তাড়াতাড়ি টেস্ট ছেড়ে চলে যাওয়া এবং কোচ থান্ডারের ম্যাচ এড়িয়ে যাওয়া স্রেফ আইপিএলের জন্য। সংবাদমাধ্যম news.com.au সোশ্যাল মিডিয়া থেকে টুইটগুলি তুলে ধরেছে। সেই সব টুইটের অন্যতম অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী টড গ্রিনবার্গের। তিনি বলেছেন, "আইপিএলের আধিপত্য নিদারুণভাবে বেড়ে গিয়েছে।" রবিবার, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান কার্যনির্বাহী টড গ্রিনবার্গ আরও একধাপ এগিয়ে অভিযোগ করেন, সেপ্টেম্বরে বিসিসিআইয়ের দ্বিতীয় আইপিএল উইন্ডো নিয়ে জল্পনা 'বিপর্যয় সৃষ্টি' করতে চলেছে।
আরও পড়ুন- IPL নিলামে ইতিহাসের দরজায় ভারতীয় মহিলা! যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিল জয় শাহের বোর্ড
সংবাদমাধ্যম সেন রেডিওকে গ্রিনবার্গ বলেন, 'আমার প্রথম ধারণা হল, এটা মোটেই অবাক করার মত ঘটনা নয়। কারণ, সব সময় একটি অতিরিক্ত বিষয় থেকেই যাচ্ছে, যা অন্য দেশের ক্রিকেট এবং বাকি ক্রিকেট সম্প্রদায়ের ওপর ধ্বংসযজ্ঞ ডেকে আনছে। এটা সত্যিকারের চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। এর বিরুদ্ধে কিন্তু, আপনি স্বল্পমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে চলতে পারবেন না। আমি মনে করি, ক্রিকেট খেলা অর্থপূর্ণভাবে চালিয়ে যেতে আমাদের সচেতন হওয়া দরকার। এই সচেতনতার জন্যই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের উন্নতি হয়েছে। যা টেস্ট ক্রিকেটে অবদান রেখেছে। আমি বলব যে আমাদের আরও কয়েকটি দেশের জন্য আরও বেশি কিছু করতে হবে। যা টেস্ট ক্রিকেটের মাধ্যমেই সম্ভব। এটা কঠিন হবে। তবে, এতে স্পষ্টতই অভিজাত খেলোয়াড়রা লাভবান হবেন। কিন্তু, তা বিশ্বজুড়ে বোর্ড এবং দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেটের ওপর প্রচণ্ড চাপ তৈরি করবে।'