নিলামের আগেই ঝড় তুলে দিয়েছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। রোহিতকে ছাঁটাই করে সরাসরি অধিনায়ক ঘোষণা করা হয় হার্দিক পান্ডিয়াকে। তারপর গোটা দেশের ক্রিকেট মহলে রোহিতের প্রতি 'অবিচার' ট্রেন্ডিং হয়ে ওঠে। ক্ষুব্ধ অসম্মানিত রোহিত নাকি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ছাড়তে চলেছেন। এমন জল্পনা জোরালো হয়ে উঠেছিল।
অপমানজনক কাণ্ডের পর রোহিত কি থাকবেন মুম্বইয়ে? একাধিক সর্বভারতীয় প্রচারমাধ্যমের সূত্র জানিয়ে দিয়েছিল, ক্রিকেটার হিসেবে এই সিজনেই মুম্বইয়ে খেলে ফ্র্যাঞ্চাইজি থেকে সরে যেতে পারেন তিনি। এমনই সম্ভবনা প্রবল।
তবে ক্রিকবাজ-কে মুম্বইয়ের এক সোর্স নাকি জানিয়েছে, রোহিত কোথাও যাচ্ছেন না। মুম্বইয়েই থাকছেন। "রোহিতের মুম্বই ছাড়ার খবর পুরোপুরি মিথ্যা। কোনও ভিত্তিই নেই। কোনও মুম্বই ক্রিকেটার দল ছাড়ছেন না। এমনকি কাউকে ট্রেড-ও করা হচ্ছে না।" এমনটাই জানিয়েছেন মুম্বইয়ের সেই কর্তা।
২০২৫-এ আবার আইপিএলের মেগা নিলাম। সেই নিলামে যথারীতি পুরো স্কোয়াড ভেঙে নতুন করে গড়ে তুলতে হবে সমস্ত দলকে। একজন বিদেশি সহ তিন জন দেশি তারকাকে রিটেন করতে পারবে সমস্ত ফ্র্যাঞ্চাইজি। তখনই দল ছাড়তে পারেন হিটম্যান। এমনিতে মুম্বই কাদের রিটেন করবে, তা খুব-ই স্পষ্ট- হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে জসপ্রীত বুমরা এবং সূর্যকুমার যাদব থাকছেন দেশিদের কোটায়। সেই নিলামেই রোহিত শেষবারের মত নতুন ঘর খুঁজে নিতে পারেন। এমনটাই বলা হচ্ছিল।
সেই সঙ্গে মুম্বইয়ের টপ থ্রি- ঈশান কিষান, সূর্যকুমার যাদব, জসপ্রীত বুমরার-ও নাকি সায় ছিল না এই সিদ্ধান্তে। এমনটাই বলা হচ্ছিল। নেতৃত্ব বদল নিয়ে সূর্যকুমার-ঈশান কিষান-জসপ্রীত বুমরা মুম্বইয়ের টপ থ্রি একদমই মৌনব্রত পালন করেছেন। হার্দিককে স্বাগত জানাননি কেউই। বরং সূর্যকুমার একধাপ এগিয়ে ভাঙা হৃদয়ের ইমোজি পোস্ট করে নিজের যাবতীয় অসন্তোষ বুঝিয়ে দিয়েছেন।
তবে মুম্বইয়ের সেই কর্তা ক্রিকবাজ-কে বলেছেন, "এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সমস্ত ক্রিকেটারের সঙ্গে কথা বলা হয়েছিল। রোহিতকেও এই বিষয়ে জানানো হয়। দলের সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ার সঙ্গে ও অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত।"
সেই কর্তাই আবার স্পষ্ট করেছেন, রোহিতকে নেওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি ট্রেড ইন করতে চেয়েছিল। দিল্লি ক্যাপিটালস, সিএসকে নিতে চেয়েছিল রোহিতকে। তবে মুম্বই রাজি হয়নি।