গনগনে বিতর্কের আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ঝুঁকি নিয়েই রোহিত শর্মাকে নেতৃত্ব থেকে ছাঁটাইয়ের দুঃসাহস দেখিয়েছে মুম্বই টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে আপাতত এতে অনেকটাই হিতে বিপরীত হয়ে গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ফলোয়ার সংখ্যা একধাক্কায় কমে গিয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। ফ্র্যাঞ্চাইজির জার্সি পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন সমর্থকরা। এতে প্রবলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরাট ব্র্যান্ড ভ্যালু।
এর মধ্যেই জল্পনা বাড়িয়ে দিল শচীনের অবস্থান। বলা হয়েছে, ব্যক্তিগত কারণে নাকি শচীন মুম্বইয়ের মেন্টর পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন। সরকারিভাবে এমন খবর কনফার্ম করেনি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অথবা শচীন। তবে একাধিক সর্বভারতীয় প্রচারমাধ্যমে বলে দেওয়া হয়েছে, শচীনের পদত্যাগের খবর।
শচীন যদি সরেও দাঁড়ান তাতে জল্পনার আগুন আরও ভয়াবহ রূপ নিতে চলেছে। এমনিতে শচীন আইপিএল কেরিয়ারে পুরোটাই খেলেছেন নিজের শহরের ফ্র্যাঞ্চাইজির জার্সিতে। এমনকি খেলোয়াড়ি জীবনে ইতি টানার পরেও মেন্টর হিসাবে রয়ে গিয়েছেন দলের সঙ্গে। ফ্র্যাঞ্চাইজির বহু উত্থান পতনের সাক্ষী তিনি। ক্রিকেটার হিসেবে আইপিএল না জিতলেও কোচিং স্টাফের অংশ হিসাবে ট্রফি জয়ের স্বাদ পেয়েছেন পাঁচবার।
ব্যক্তিগত কারণে তিনি সরে দাঁড়ালেও অপ্রীতিকর প্রশ্ন এড়ানো যাচ্ছে না। রোহিত শর্মাকে নিয়ে যেভাবে অপমানজনক ভাবে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে মাত্র ৪৮ ঘন্টা আগে। তারপরেই শচীনের জল্পনার পদত্যাগ পত্র কি পুরোটাই ব্যক্তিগত কারণে নাকি রোহিতের জন্য অপমান সহ্য না করতে পেরে এই সিদ্ধান্ত, তা নিয়ে ক্রিকেট মহলে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে।
সর্বকালের তর্কাতীতভাবে শ্রেষ্ঠ ব্যাটসম্যান শচীন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে ৭৮ ম্যাচে ২২৩৪ রান করেছেন। একটা শতরানের পাশাপাশি ১৩টি হাফসেঞ্চুরিও হাঁকিয়েছেন ফ্র্যাঞ্চাইজির জার্সিতে। আইপিএল না জিতলেও ২০১১-য় নেতৃত্ব দিয়ে দলকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতিয়েছেন। মুম্বইয়ের মেন্টর হিসেবে ঈশান কিষান, হার্দিক পান্ডিয়া, জসপ্রীত বুমরা, রাহুল চাহার, সূর্যকুমার যাদবদের মত প্রতিভাদের পরিচর্যায় সাহায্য করেছেন। এমনকি ফ্র্যাঞ্চাইজির সিনিয়র তারকা রোহিত শর্মা, কায়রণ পোলার্ডের সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক দুর্ধর্ষ।
রোহিত অধ্যায়ের প্রেক্ষিতে তিনি যদি আড়াই দশকের সম্পর্কে ইতি টানেন, অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।