Mohammed Kaif on Ricky Ponting and Sourav Ganguly at Delhi Capitals : দিল্লি ক্যাপিটালসে সময় মোটেই ভালো কাটেনি রিকি পন্টিংয়ের। কোচ হয়ে রাজধানী শহরকে খেতাব জেতাতে ব্যর্থ হয়েছেন বিশ্বকাপজয়ী। এবার ঢেলে সাজানোর পথে হেঁটেছে দিল্লি ক্যাপিটালস। কোচ সহ পুরো কোচিং স্টাফই বদলে ফেলেছে দিল্লি।
নিলামের আগে নামি দামি তারকাদেরও রিটেন করেনি ফ্র্যাঞ্চাইজি। পন্টিংয়ের কোচিংয়ে সাফল্য বলতে ২০২০-র ফাইনালে পৌঁছনো। তবে কোচ পন্টিং নন, দিল্লির ফাইনালে ওঠার পিছনে ছিল সৌরভের ধুরন্ধর মস্তিস্ক। এমনটাই বলছেন এবার রিকি পন্টিংয়ের সঙ্গে সহকারী হিসাবে দিল্লিতে থাকা মহম্মদ কাইফ।
টানা দু বছর দিল্লির সহকারী কোচ ছিলেন কাইফ। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে কাইফ বলে দিয়েছেন, "পন্টিং নিজেও হয়ত স্বীকার করে নেবে, ওঁর কোচিংয়ে দিল্লির আরও ভালো পারফর্ম করা উচিত ছিল। কারণ এতটাই ভালো দল ছিল যে সৌরভ, আমি প্রায়ই ভাবতাম কাকে বসিয়ে কাকে খেলাব! অজিঙ্কা রাহানে, অশ্বিন, ইশান্ত শর্মা এমনকি হেটমায়ারেরও জায়গা হত না।"।
বড়সড় মন্তব্যে কাইফ আরও বলেছেন, ডেভিড ওয়ার্নার সম্ভবত পন্টিংকে ধাওয়ানকে বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। "দলের মিটিংয়ে একথা স্পষ্ট করে হয়েছিল, ধাওয়ান এমন একজন ব্যাটার যে সিজনে ৫০০ করার সামর্থ্য রাখে। ডেভিড ওয়ার্নার হায়দরাবাদে ছিল। ও সম্ভবত পন্টিংকে ধাওয়ানকে বাদ দেওয়ার বিষয়ে প্রভাবিত করেছিল। হয়ত রিকিকে বুঝিয়েছিল ধাওয়ান আর গ্রেট প্লেয়ার নয়।"
পন্টিংয়ের এই ভুল শুধরে নিয়েছিলেন সৌরভ। কাইফ জানিয়েছেন, "আমার মনে হয় রিকি নিজেও হয়ত অনুশোচনায় ভুগবে। কারণ সাত সিজন কোচিং করিয়েও কোনও ট্রফি জেতাতে পারেনি দলকে। অশ্বিনকে দলে ফিরিয়ে আনার জন্য বরং সৌরভকে কৃতিত্ব দিতে হবে। সমস্ত ঘটনায় ফ্র্যাঞ্চাইজির তরফে হয়ত মনে হয়েছে, রিকি পন্টিংয়ের গেম প্ল্যান আর আগের মত নেই। তাই বিচ্ছেদের পথে হেঁটেছে।"
দিল্লি ক্যাপিটালস সহ মালিক পার্থ জিন্দাল এবং মেন্টর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নিলামে ধাওয়ানের ওপর ভরসা রেখে ট্রেড ইন-এর মাধ্যমে নিয়ে আসা হয়। সেই সিদ্ধান্তই শেষমেশ সঠিক বলে প্রমাণিত হয়। ২০২০-এ গব্বরের ব্যাটে ভর করেই দিল্লি ফাইনালে পৌঁছতে সমর্থ হয়েছিল।