কিছুদিন আগে শেষ হওয়া আইপিএলে কোহলির সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে শিরোনামে উঠে এসেছিলেন লখনৌয়ের আফগান পেসার নভিন উল হক। আইপিএল শেষ হয়ে গেলেও নভিন উল হক সেই ঘটনায় এত সহজে দাড়ি টানছেন না। বারবার বিভিন্ন ব্যাঙ্গাত্মক পোস্টের মাধ্যম নিশানা করেছেন কোহলিকে। কয়েকদিন আগেই এক সাক্ষাৎকারে নভিন উল হল আবার বলে দিয়েছেন, বিরাট কোহলিই ঝামেলার সূত্রপাত করেছিল।
শনিবার ফের একবার ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করলেন আফগান তারকা। সেও পোস্টে দেখা যাচ্ছে এক গাধা এবং বাঘ তর্কাতর্কি করছে। সেই ভিডিওর শেষে লেখা ফুটে উঠতে দেখা যায়, "বোকা এবং উন্মাদ যে বাস্তব, সত্যিটা মানতে চায় না, স্রেফ নিজের মনগড়া কল্পনা, বিশ্বাসের জয় দেখে, তাঁর সঙ্গে তর্ক করা স্রেফ সময়ের অপচয়। এমন অনেক ব্যক্তি রয়েছে, যাঁদের সামনে যতই তথ্য হাজির করা হোক না কেন, তাঁদের বোঝার দক্ষতার বাইরে। অনেকে আবার অহং, ঘৃণা, প্রতিশোধস্পৃহতায় অন্ধ হয়ে থাকে। নিজের ভুল না হলেও সবসময় তারা চায় তাঁরাই যেন ঠিক হয়।"
গত মাসে এক সাক্ষাৎকারে লখনৌ সুপার জায়ান্ট পেসার বিরাট কোহলির সঙ্গে মাঠের লড়াই নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। সেই ঝামেলায় ফুটবল ধাঁচে দুই দলের ক্রিকেটাররা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। কুৎসিতভাবে গোটা ঘটনায় নাম জড়িয়ে যায় গৌতম গম্ভীরেরও।
বিবিসি পুশতু-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নভিন বলে দিয়েছেন, "ম্যাচরর সময় এবং ম্যাচের পরে ওঁর মোটেই এভাবে কথা বলা উচিত হয়নি। আমি মোটেই ঝামেলার সূত্রপাত করিনি। ম্যাচের শেষে সৌজন্য করমর্দনের সময় কোহলি লড়াই শুরু করে।"
আইপিএলের নিয়মশৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় কোহলি এবং গৌতম গম্ভীরের ম্যাচ ফির একশো শতাংশ জরিমানা হয়। পঞ্চাশ শতাংশ ফাইন হয় নভিনের। সেদিকেই উদ্দেশ্য করে আফগান তারকা বলে দেন, "জরিমানার অঙ্ক দেখলেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে, কে লড়াই শুরু করে। একটা কথা বলতে চাই। আমি মোটেই স্লেজিং করিনা। বোলিং করার সময় যদিও কিছু বলে থাকি, তা ব্যাটারকে। কারণ বোলার তখন আমিই। সেই ম্যাচে যদিও আমি একটাও শব্দ উচ্চারণ করিনি। কাউকে স্লেজ করিনি।"
"আমাকে যাঁরা চেনেন, তাঁরা জানেন আমি এমন পরিস্থিতি কীভাবে সামলাই। ব্যাট করার জন্য হোক বা ম্যাচের পর মেজাজ কখনই হারাইনা আমি। ম্যাচ শেষে কী করেছি, সেটা সবাই দেখেছে। আমি করমর্দন করছিলাম। তবে কোহলি জোর করে আমার হাত চেপে ধরে। মানুষ হিসাবে এরপরে আমিও স্বভাবিক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছি।"