মুম্বইয়ে খেলেই অর্জুন ধীরে ধীরে ক্রিকেটার হিসেবে উন্নতি করবেন। নিলামের পরেই অর্জুন তেন্ডুলকরকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত ফ্র্যাঞ্চাইজির কর্তা আকাশ আম্বানি।
আইপিএলের নিলামে অর্জুনকে কেন নিল মুম্বই তা-ও ব্যাখ্যা করে দিয়েছেন মুকেশ-পুত্র। তিনি জানিয়েছেন, "অর্জুনের স্কিল রয়েছে। বাঁ হাতি জোরে বোলার। সেইসঙ্গে ব্যাটও করে বাঁ হাতে। বিশ্ব ক্রিকেটে এমন ক্রিকেটার কিন্তু বিরল। তবে আমাদের দেখতে হবে, বাকি তরুণদের মত ওঁর যেন নিজেকে আরও উন্নত করতে পারে। সৌভাগ্যক্রমে, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলে ব্যক্তিগত দক্ষতার শীর্ষে ওঠার সুযোগ রয়েছে সকলের কাছে। কারণ দলের পরিবেশ এই ক্ষেত্রে সহায়ক। বাকি তরুণ ক্রিকেটাররা যেভাবে মেলে ধরেন, সেভাবে অর্জুনও নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করবে আশা করি।"
আরো পড়ুন: নিজেকে প্রমাণ করতে হবে আইপিএলে! নিলামের পরেই অর্জুনকে ‘কড়া বার্তা’ জাহিরের
নিলামের দিনেই অর্জুন তেন্ডুলকরকে কিনেছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। কিংবদন্তি পুত্রকে বেস প্রাইস ২০ লক্ষ টাকায় মুম্বই ম্যানেজমেন্ট নিলামে স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত করেছে। একদম শেষ নাম হিসাবে অর্জুনকে নিলামে তোলা হয়। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ছাড়া অন্য কোনো দল বিড করেনি শচীন-পুত্রের জন্য। অর্জুন আইপিএল নিলামে নিজের নাম নথিভুক্ত করার পর থেকেই আলোচনা শুরু হয়েছিল শচীন পুত্রকে নিতে পারে মুম্বই। কারণ বেশ কয়েক বছর ধরেই মুম্বইয়ের নেট বোলার হিসাবে রয়েছে অর্জুন। গত আইপিএলে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতেও গিয়েছিলেন মুম্বই স্কোয়াডের সঙ্গে।
এদিকে, শচীন-পুত্রকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত দলের হেড কোচ মাহেলা জয়বর্ধনেও। তিনি জানিয়েছেন, অর্জুনের প্রতিভা দেখেই ম্যানেজমেন্ট ওঁকে দলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। গত কয়েক মরশুম ধরেই অর্জুন নেট বোলার হিসাবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স স্কোয়াডে যুক্ত ছিলেন। গত আইপিএলে দলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতেও গিয়েছিলেন। মাহেলা জানিয়েছেন, পুত্র অর্জুনকে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলের জার্সিতে দেখে নিশ্চয় গর্বিত হবেন শচীন।
নিলামের পরে মাহেলা জয়বর্ধনে বলেছেন, "গত কয়েকবছর ধরেই কঠোর পরিশ্রম করে চলেছে অর্জুন। নেটে বোলিং করত। দলের সঙ্গে ইউএই-তে গিয়েও পরিশ্রম করেছিল অর্জুন। শুধু অর্জুন নয়, আমরা অন্য নেট বোলার যুধবীরকেও নিয়েছি। যারা পরিশ্রম করেন, তাদের ওপর সবসময় আমরা লগ্নি করে থাকি। অর্জুনকে পাওয়াটা দারুণ ব্যাপার। শচীনও অর্জুনকে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের জার্সিতে দেখে গর্বিত হবে।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন