নিলামের আগেই আরসিবি রিলিজ করে দিয়েছিল। তখনও কি ক্রিস মরিস ভাবতে পেরেছিলেন নিলামে তাঁকে কিনতেই ধুন্ধুমার বাঁধাবে আইপিএল দলগুলি। ১৬.২৫ কোটি টাকায় রাজস্থান রয়্যালস কিনে নিতেই ইতিহাস গড়ে ফেললেন দক্ষিণ আফ্রিকান অলরাউন্ডার। আইপিএল নিলামে সবথেকে বেশি দামি ক্রিকেটার আপাতত তিনিই। টুর্নামেন্টের নিলামে সবথেকে বেশি দামি ক্রিকেটার তিনি। তবে সবমিলিয়ে তিনিই মোটেই সবথেকে দামি নন।
আইপিএল নিলাম বিচার্য হলে এর আগে সবথেকে দামি ছিলেন যুবরাজ সিং। ২০১৫ মরশুমে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস (এখন দিল্লি ক্যাপিটালস) যুবিকে সই করিয়েছিল রেকর্ড ১৬ কোটি অর্থে। বিদেশিদের মধ্যে সবথেকে দামি ক্রিকেটারের তকমা গত বছর পেয়েছিলেন প্যাট কামিন্স।
আরো পড়ুন: আইপিএল ইতিহাসে সবথেকে দামি ক্রিকেটার মরিস! ভেঙে দিলেন সব রেকর্ড
আইপিএল নিলামের অর্থে মরিস আপাতত যুবরাজ এবং প্যাট কামিন্সকে পেরিয়ে গিয়েছেন। তবে সবথেকে দামি ক্রিকেটার এখনো বিরাট কোহলি। আরসিবি অধিনায়ক প্রতি মরশুমে ১৭ কোটি টাকা বেতন পান।
২০১৮ সালের আইপিএলের আগে অনুষ্ঠিত হয়েছিল মেগা নিলাম। সেই নিলামের আগে প্রত্যেক ফ্র্যাঞ্চাইজি তিন ক্রিকেটারকে রিটেন করেছিল। রিটেনশন নিয়ম মেনে ক্রমতালিকা অনুযায়ী প্রত্যেক ক্রিকেটারের বেতন কাঠামো ছিল যথাক্রমে ১৫ কোটি, ১১ কোটি এবং ৭ কোটি।
আরসিবি এই নিয়মের বাইরে গিয়ে শীর্ষ বাছাই রিটেনড ক্রিকেটার হিসাবে কোহলির জন্য বেতন নির্ধারণ করে ১৭ কোটি। তালিকায় দ্বিতীয় ছিলেন এবি ডিভিলিয়ার্স। তাঁকে দেওয়া হয় ১১ কোটি। আনক্যাপড সরফরাজ খানকে তৃতীয় ক্রিকেটার হিসাবে ধরে রাখে আরসিবি। তাঁকে দেওয়া হয় ১.৭৫ কোটি টাকা। সেই হিসাবে ২০১৮ সাল থেকেই কোহলি ১৭ কোটি টাকা পেয়ে আসছেন।
আগামী বছরের আইপিএলের আগে মেগা নিলাম অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তখন এই বেতন কাঠামো একপ্রস্থ পরিবর্তন ঘটতে পারে। শীর্ষস্থানীয় ক্রিকেটাররা বেতন আরো বাড়তে পরেই বলে ধারণা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন