Advertisment

১২ বছর IPL নিলামে-এ চালু সাইলেন্ট টাইব্রেকার নিয়ম! কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি ব্যবহার করেনি আজ পর্যন্ত

২০১০ থেকেই আইপিএলে সাইলেন্ট টাইব্রেকার নিয়ম রয়েছে। অনেকেই হয়ত এই বিষয়ে অবগত নন।

author-image
IE Bangla Sports Desk
New Update
NULL

দল গড়ার জন্য আইপিএলে সমস্ত ফ্র্যাঞ্চাইজি ৯০ কোটি টাকা খরচ করতে পারে। নিলামের টেবিলে অনেক সময়েই সংশ্লিষ্ট কোনও ক্রিকেটারকে পাওয়ার জন্য দড়ি টানাটানি শুরু হয়। মুহূর্তে মুহূর্তে বাড়তে থাকে সেই প্লেয়ারের দর। শেষ পর্যন্ত বিডিংয়ে সর্বোচ্চ দর হাঁকা ফ্র্যাঞ্চাইজি তুলে নেয় সেই প্লেয়ারকে।

Advertisment

তবে কোনও ক্রিকেটারকে পাওয়ার জন্য কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি যদি নিজেদের বরাদ্দ অর্থের পুরোটাই খরচ করে ফেলে, তাহলে কী হবে? আইপিএলের ইতিহাসে এমন পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটেনি। তবে এমন পরিস্থিতি দেখা দিলে, কী হবে, তার নিদান কিন্তু ঠিক করা রয়েছে নিলামে। আইপিএল টিম ম্যানেজমেন্টের তরফে সাইলেন্ট টাইব্রেকার নিয়ম চালু রয়েছে।

আরও পড়ুন: রিলিজ করা এই পাঁচ সুপারস্টারকেই নিলামে ফেরাতে মরিয়া CSK! ধোনিদের ব্লু প্রিন্ট প্রকাশ্যে

২০১০ থেকেই এই নিয়ম চালু রয়েছে আইপিএল নিলামে। সরাসরি এই নিয়ম প্রয়োগ না করা হলেও, অন্য পরিস্থিতিতে এই নিয়ম প্রযুক্ত হয়েছে। অতীতে কোনও ক্রিকেটারের সর্বোচ্চ দরের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট আর্থিক অঙ্ক বেঁধে দেওয়া ছিল। এই নিয়মেই কায়রণ পোলার্ড, শ্যেন বন্ড, রবীন্দ্র জাদেজাদের মত তারকাদের ফ্র্যাঞ্চাইজি কিনেছিল।

তবে এখন নিয়ম অনুযায়ী, ফ্র্যাঞ্চাইজির হাতে থাকা পুরো ৯০ কোটি পার্স খতম হয়ে গেলে সাইলেন্ট টাইব্রেকার নিয়ম চালু হবে। যে চিত্র নিলামের একদম শেষের দিকে দেখা যেতে পারে এবার।

কোনও দলের পার্স খতম হওয়ার সময় প্রতিপক্ষ ফ্র্যাঞ্চাইজির দর ছাপিয়ে গেলে নিলামে আসবে নিঃশব্দ টাইব্রেকার নিয়ম। অর্থের কারণে সংস্লিষ্ট ক্রিকেটারকে কেনার জন্য আর বিড না দিতে পারলেও সেই ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছে সুযোগ থাকবে সাইলেন্ট টাইব্রেকারের মাধ্যমে সেই ক্রিকেটারকে কিনে নেওয়ার।

আরও পড়ুন: শনিবারই IPL-এ ১০ দলের সুপারহিট নিলাম! কখন, কোন চ্যানেলে দেখা যাবে, জানুন

সেক্ষেত্রে সেই ক্রিকেটারকে কিনতে যে দুই ফ্র্যাঞ্চাইজির মধ্যে লড়াই চলছিল, তাদের লিখিতভাবে জানাতে হবে শেষ বিডের পরেও সর্বোচ্চ কত দাম তাঁরা দিতে পারবে। তখন নির্দিষ্ট কোনও স্যালারি ক্যাপিং না মেনেই দর হাঁকাতে পারবে সেই দুই ফ্র্যাঞ্চাইজি। নিজেদের পার্সের ব্যালেন্স ছাপিয়ে যে অতিরিক্ত অর্থ লাগবে, তা বোর্ডের কাছে জমা করতে হবে। অতিরিক্ত অর্থ সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটার পাবেন না, তা বোর্ডের কোষাগারে ঢুকবে।

যদি দেখা যায় সাইলেন্ট টাইব্রেকারের ক্ষেত্রেও দুই দল একই পরিমাণ অর্থ জমা দিয়েছে, সেক্ষেত্রে সেই পদ্ধতি চালিয়ে যাওয়া হবে, যতক্ষণ না কোনও এক দলের বিড অন্যকে ছাপিয়ে যাচ্ছে। এই নিয়মে এখনও কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি আগ্রহী দেখায়নি। তা স্বত্ত্বেও ১২ বছর আগের সেই নিয়ম এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছে। এবার কি এই নিয়ম দেখা যাবে, সেটাই দেখার।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

BCCI IPL
Advertisment