আইপিএল নিলামে সমস্ত দল-ই নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার কাজে নেমেছিল। বিশাল অর্থ খরচ করে স্কোয়াড গড়ে নিয়েছে আসন্ন আইপিএলের ১০ ফ্র্যাঞ্চাইজি। এত ফ্র্যাঞ্চাইজি থাকা সত্ত্বেও ইয়ন মর্গ্যান, ফিঞ্চ, স্টিভ স্মিথদের মত বিদেশি তারকারা দল পাননি।
এই তিন বিদেশি যেমন অবিক্রিত থাকলেন, তেমনই ক্রিকেট বিশ্বকে স্তম্ভিত করে সুরেশ রায়নাকেও নিলামে কেউ কিনল না। অনেকেই প্রত্যাশা করেছিল সিএসকে হয়ত শেষ মুহূর্তে নিজেদের তারকাকে কিনে নেবে।
আরও পড়ুন: মুম্বইয়ে রোহিতের ওপেনিং পার্টনার ১৫ কোটির এই তারকা! নিলাম শেষে ফাঁস আকাশ আম্বানির
ধোনির নেতৃত্বাধীন সিএসকে রবিন উথাপ্পা, দীপক চাহার, ডোয়েন ব্র্যাভোর মত নিজেদের তারকাদের ফেরালেও সুরেশ রায়নাকে নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করেনি। ২০০৮ থেকেই হলুদ জার্সিতে খেলে মিস্টার আইপিএল পদবিও অর্জন করে নিয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত নিজেদের দল-ই মুখ ফিরিয়ে নিল।
কেন রায়নাকে ফেরানো হল না নিলামে, সেই বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সিএসকে সিইও কাশি বিশ্বনাথন জানিয়ে দিয়েছেন, ফাফ ডুপ্লেসিস, রায়নার মত তারকাদের মিস করবে ফ্র্যাঞ্চাইজি। তবে দলীয় কম্পোজিশনে দুজনে ফিট করবেন না বলেই তাঁদের জন্য ঝাঁপানো হয়নি।
আরও পড়ুন: শেষবেলায় KKR-এর ঘরে সাউদি-হেলস-বিলিংস! কেমন হল নাইটদের পুরো স্কোয়াড, দেখুন
সিএসকে-র ইউটিউব চ্যানেলে কাশি বিশ্বনাথন জানিয়েছেন, "রায়না গত ১২ বছর ধরে দলের অন্যতম ধারাবাহিক পারফর্মার। রায়নাকে না রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া বেশ কঠিন ছিল। তবে একই সময় বুঝতে হবে আমরা ভবিষ্যতের জন্য কোন কম্পোজিশনে নির্ভর করব! ওঁরা এই কম্বিনেশনে খাপ খাচ্ছিল না। তাই আমরা দেখেছি ও মোটেই ফিট করবে না আমাদের দলে।"
"আমরা রায়নাকে তো বটেই ফাফ-কেও মিস করব। যে গত দশক ধরে আমাদের দলেই রয়ে গিয়েছে। এটাই প্রসেস। নিলামের এটাই ডায়নামিক্স।"
আইপিএলের ইতিহাসে সর্বকালের অন্যতম সফল ব্যাটসম্যান রায়না। তাঁর ডাকনাম-ই হয়ে গিয়েছে মিস্টার আইপিএল। মোট রানসংখ্যার নিরিখে রায়না বিরাট কোহলি (৬২৮৩), শিখর ধাওয়ান (৫৭৮৪) এবং রোহিত শর্মার (৫৬১১) পরেই চতুর্থ স্থানে। ২০৪ আইপিএল ম্যাচে রায়নার রানসংখ্যা ৫৫২৮ রান। চারবারের ট্রফি জয়ী দলের অন্যতম সেরা পারফর্মার ছিলেন তিনি। ২০১০-এর আইপিএলের ফাইনালে রায়না ম্যাচের সেরাও হয়েছিলেন।
গত মরশুমে রায়না সিএসকের জার্সিতে একদমই ফর্মে ছিলেন না। প্ৰথম ১২ ম্যাচে নিয়মিত খেলে মাত্র ১৬০ রান করেন। তারপরেই টুর্নামেন্টের শেষদিকে প্ৰথম এগারো থেকে বাদ পড়েন।