ললিত মোদি আপাতত খবরের শিরোনামে। সুস্মিতা সেনের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক খোলসা করার পরেই গোটা বিশ্বে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছেন আইপিএলের স্রষ্টা। মালদ্বীপের ছুটি কাটানোর ছবি পোস্ট করে ললিত মোদি জানিয়েছেন, তাঁরা স্রেফ ডেটিং করছেন। এখনও বিবাহিত নন।
ললিত মোদির সেই পোস্ট মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। ঘটনাচক্রে, ললিত মোদি সুস্মিতার প্যারোডি একাউন্ট ট্যাগ করে বসেছিলেন নিজের ইন্সটা-হ্যান্ডল থেকে। নেটিজেনদের কাছে সবমিলিয়ে ব্যাপক ট্রোলড হতে হয় এই শিল্পপতিকে।
আরও পড়ুন: সুস্মিতা-ই প্ৰথম নন! ১০ বছরের বড় মিনালকে বাবার অমতেই বিয়ে ললিতের, জানুন সেই দাম্পত্য
আর বারবার ট্রোলিংয়ের বিষয়বস্তু হয়ে ললিত মোদি। নিজের একগুচ্ছ থ্রোব্যাক ছবি পোস্ট করে ললিত মোদি সোশ্যাল মিডিয়ায় একহাত নেন তাঁর সমালোচকদের। তাঁর বক্তব্য, "ভুলভাবে ট্যাগ করার জন্য কেন মিডিয়ার তরফে আমাকে ট্রোলিং করা হচ্ছে? কেউ আমাকে ব্যাখ্যা করে বোঝাতে পারবে, আমি ইন্সটা-য় দুটো ছবি পোস্ট করেছি। ট্যাগও যথাযথ। মনে হয় আমরা এখনও মধ্যযুগে বাস করছি যে দুজন ভালো বন্ধু হতে পারে না, দুজনের মধ্যে রসায়ন ভালো এবং টাইমিং যথাযথ হলেও ম্যাজিক ঘটবে না! প্রত্যেক সাংবাদিক আসলে অর্ণব গোস্বামী হওয়ার চেষ্টায় মত্ত। যে নিজে সবথেকে বড় জোকার। সঠিকভাবে সংবাদ পরিবেশন করুন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের মত ভুয়ো খবর নয়।"
"আপনাদের অবগতির জন্য জানাতে চাই ১২ বছর মিনাল মোদি বিবাহিত জীবনে থাকার সময়েও আমার বেস্ট ফ্রেন্ড ছিলেন। উনি আমার মায়ের বন্ধু মোটেই নন। স্বার্থসিদ্ধি করার লক্ষ্য নিয়ে এমন খবর রটানো হচ্ছে। এমন মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসার এটাই সর্বোৎকৃষ্ট সময়। কেউ যখন উন্নতি করে, দেশের জন্য ভালো করে সেটা উপভোগ করা উচিত।"
তাঁকে 'পলাতক' হিসাবে যেভাবে দেখানো হচ্ছে, তাতেও আপত্তি রয়েছে তাঁর। "সকলের থেকে মাথা উঁচু করে চলতে পারি। যাঁরা আমাকে পলাতক বলছেন, তাঁরা বলুন, ভারতের কোন কোর্টে আমি দোষী সাব্যস্ত হয়েছি। দেশের এমন একজনের কথা বলুন যে আমার মত দারুণ একটা জিনিস সকলকে উপহার দিতে পেরেছে। সকলেই জানেন, ভারতে ব্যবসা করা কতটা কঠিন বিষয়। আর্থিক মন্দার সময়ে ২০০৮-এ আমি আইপিএল তৈরি করেছিলাম। সকলেই হেসেছিল প্ৰথমে। এখন কারা হাসছে? বিশ্বের সকলেই জানেন আমি এটা উদ্ভাবন করেছি। বিসিসিআইয়ের অফিসের কোনও বাঁদর এটা করেনি। সকলেই দৈনিক ৫০০ ডলার টিএ ডিএ নিতে আসত। আর কেউ কি এমন জিনিস তৈরি করেছে যা গোটা দেশকে একত্রিত করে রাখতে পেরেছে? সকলের কাছে উপভোগ্য হয়ে উঠেছে? যাঁরা আমাকে পলাতক বলছে, তাঁদের কথায় আমার কি সত্যিই কিছু যায় আসে? না। আমি হিরের চামচ মুখে নিয়ে জন্মেছি। কখনও ঘুষ নিতে হয়নি, নেওয়ার প্রয়োজনও হয়নি।"
আরও পড়ুন: নামি সংস্থার CEO থেকে বিদেশিকে বিয়ে! ললিত মোদির মেয়ের লাইফস্টাইল চোখ ধাঁধাবে
"অনেকেই ভুলে গিয়েছেন আমার প্রপিতামহ ছিলেন রায়বাহাদুর গুজরমল মোদি। আমি টাকা কিনতাম। কখনই নিইনি। বিশেষ করে জনগণের টাকা। কখনই সরকারি সাহায্য নিইনি। ২৯ নভেম্বর ২০০৫-এ নিজের জন্মদিনে যখন বোর্ডে যোগ দিই তখন কোষাগারে ছিল মাত্র ৪০ কোটি টাকা। আর আমাকে যখন নির্বাসিত করা হল বোর্ডের কোষাগারের অঙ্ক কেউ আন্দাজ করতে পারবেন- ৪৭৬৮০ কোটি টাকা, ১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। কোনও জোকারই কি আমাকে সাহায্য করেছিলেন? কারোর কোনও ধারণাই ছিল না কোথা থেকে শুরু করবে। ভুয়ো সংবাদমাধ্যমের ওপর একরাশ লজ্জা। এখন ওঁরা হিরো সাজার চেষ্টা করছে।"