হয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নাহয় ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট! এমনই অপশন নিয়ে এবার কমপক্ষে ছয়জন ইংল্যান্ডের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারের কাছে লোভনীয় প্রস্তাব নিয়ে হাজির হল আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিরা। টাইমস লন্ডনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিতে বার্ষিক চুক্তিভুক্ত হলে ৫ মিলিয়ন পাউন্ড পর্যন্ত বেতনের অফারও দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারদের কাছে।
আইপিএলের দশ ফ্র্যাঞ্চাইজিরই কমবেশি বিশ্বের বিভিন্ন টি২০ লিগে দল রয়েছে। সিপিএল (ক্যারিবিয়ান টি২০ লিগ), সাউথ আফ্রিকা টি২০, গ্লোবাল টি২০ লিগ এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চালু হতে চলা মেজর লিগ ক্রিকেটের সব দলই আইপিএলের সহ-ফ্র্যাঞ্চাইজি! এছাড়াও সৌদি টি২০ লিগ-ও চালু হতে চলেছে যেখানে অধিকাংশ ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা আইপিএলের দলগুলোর।
তবে ব্রিটিশ দৈনিকের সেই রিপোর্টে অবশ্য জানানো হয়নি কোন কোন ফ্র্যাঞ্চাইজির তরফে ইংল্যান্ডের কোন কোন ক্রিকেটারের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই প্রস্তাবের অর্থ সংস্লিষ্ট ক্রিকেটাররা নির্দিষ্ট দেশের বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তির অধীনে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার বদলে সংশ্লিষ্ট ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বছর ভর টি২০ লিগ খেলবেন। এবং সেই ক্রিকেটারদের সেই দেশের বোর্ডের বদলে মালিকানা স্বত্ত্ব থাকবে আইপিএলের সেই দলের।
বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন ক্রিকেট লিগে খেলার জন্য ক্রিকেটারদের নিজের দেশের বোর্ডের কাছ থেকে এনওসি সংশাপত্র জোগাড় করতে হয়। তবে আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিরা ক্রিকেটারদের নিয়াগকর্তা হিসাবে আবির্ভূত হলে সেই ঝঞ্ঝাট আর পোহাতে হবে না ক্রিকেটারদের।
এমনিতেই ক্রমবর্ধমান টি২০ লিগের দৌরাত্ম্য কমাতে আইসিসির তরফে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবা হয়েছিল। এমন অবস্থায় আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিদের এই বিশাল আর্থিক প্রস্তাব আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পরিকাঠামোই নড়িয়ে দিতে পারে। অনেক তরুণ উঠতি তারকা দেশের হতে খেলার বদলে ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে চুক্তি করে ফেলতে পারে। অনেক সক্রিয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার আবার অবসরের পথে হাঁটতে পারেন। এমন সম্ভবনা তৈরি হয়ে গেল।
Read the full article in ENGLISH