সংক্ষিপ্ত লিগ নিয়ে আপত্তি নেই। তবে আইপিএলের দিনক্ষণ যেন বোর্ড আগেভাগে জানিয়ে দেন। এমনটাই চাইছে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা। আইপিএল না হলে আর্থিকভাবে বোর্ডের সঙ্গেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে প্রায় সব দল। সেই কারণেই স্পনসরদের সঙ্গে কথা বলার জন্য অগ্রীম সময় চাইছে ফ্রাঞ্চাইজিরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তা জানিয়ে দিলেন, "বোর্ড এখনও কেন অপেক্ষা করছে জানি না! এতদিনে টুর্নামেন্টের দিনক্ষণ জানিয়ে দেওয়া উচিত ছিল। অগাস্ট-সেপ্টেম্বর নাকি সেপ্টেম্বর-অক্টোবর বোর্ড জানিয়ে দিক। আসলে টি২০ বিশ্বকাপ নিয়ে আইসিসি এখনো কোনো সিদ্ধান্তে আসতে না পারতেই বোর্ডের দেরি হচ্ছে। সম্ভব হলে বোর্ড ইউএই ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে কথা বলুক। ওমান-বাহরিনেও লিগ সম্প্রসারণের কথা ভাবুক।
ঘটনা হল, আইপিএল এবার ক্লোজড ডোর খেলা ছাড়া উপায় নেই। দর্শকশূন্য স্টেডিয়াম কতটা উৎসাহী স্পনসর জোগাড় করতে পারবে না নিয়েও দ্বিধা রয়েছে। ফ্রাঞ্চাইজিদের অর্থ উপার্জনের প্রধান সোর্স যদিও বিসিসিআইয়ের সেন্ট্রাল পুল। তবে স্পন্সসর থেকেও অর্থ পেয়ে থাকে সব দল।
নেস ওয়াদিয়া আবার আশা করছেন আইপিএলে এবারই রেকর্ড স্পনসর পাবে দলগুলো। তিনি জানিয়েছেন, "আইপিএলে স্পনসর কম হবে, এমনটা মোটেই নয়। হয়ত পরিস্থিতি উনিশ-বিশ হতে পারে। তবে টুর্নামেন্টের দিন ঘোষণা করে দিলেই স্পনসরদের আগ্রহী না হওয়ার কোনো কারণ নেই! কারণ এবার ভিউয়ারশিপ আরো বেশি হবে।"
তাঁর যুক্তি, "যদি সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে খেলা হয়, তাহলে ম্যাচের সংখ্যার উপরে তা নির্ভর করবে। স্বাভাবিকভাবে যদি ১৪টা করে ম্যাচ খেলা হয়, তাহলে তো স্পনসর পেতে আরও সুবিধা হবে। কম ম্যাচের অবশ্য পরিস্থিতি আলাদা হবে। তা সত্ত্বেও অনেক স্পনসর এতেই খুশি হবে। কারণ আইপিএল থেকে অনেকটাই প্রচার পেয়ে যাবে তারা। আইপিএল আরো বড় করে আয়োজন করা উচিত। কারণ বিশ্বের মানুষ এত সমস্যায় ছিল যে সেই কষ্ট ভোলার একটা পথ খুঁজছে সবাই।"
নেস ওয়াদিয়ার সঙ্গে একমত হয়েছেন সিএসকে এক কর্তাও। তিনি বলেন, "অতিমারীর একটা প্রভাব থাকবেই। তা নিয়ে সন্দেহ নেই। তবে টিভি কিন্তু বিজ্ঞাপনের দারুণ সুযোগ। তবে কঠিন পরিস্থিতিতে তাদের হাতে কত অর্থ রয়েছে, সেটাও দেখতে হবে। আইপিএল এর দিন জানিয়ে দিলেই স্পন্সররা যোগাযোগ শুরু করবে।"
সিএসকের অন্য একজন কর্তা আবার আশাবাদী। এই সময়ে আইপিএল এর ব্র্যান্ড আরো বাড়ার সুযোগ রয়েছে। কারণ তাঁর যুক্তি, সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে আইপিএল হওয়ার পর ডিসেম্বরেই নিলাম! তারপর ফের একবার মার্চ-এপ্রিলে আইপিএল। টানা আটমাস আইপিএল নিয়ে ব্যস্ত থাকবে সবাই। তবে তিনি আরো জানিয়ে রাখছেন, বর্তমান ট্রেন্ড অনুযায়ী, নভেম্বরের আগে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে না। তাই বাইরে আইপিএল আয়োজন করা হোক