IPL 2025 mega auction: আইপিএলে বিদেশি খেলোয়াড়দের ওপর দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা জারির জন্য বিসিসিআইকে অনুরোধ করল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। গত ৩১ জুলাই, বিসিসিআই কর্তাদের সঙ্গে আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর বৈঠক হয়েছে। সেখানেই বিসিসিআইকে এই অনুরোধ করেছেন ফ্র্যাঞ্চাইজির কর্তারা। ৩১ জুলাইয়ের ওই বৈঠক পরবর্তী নিলামের নিয়ম স্থির করতে ডাকা হয়েছিল। সেখানেই ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো বিসিসিআইকে বিদেশি খেলোয়াড়দের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির অনুরোধ করেছে।
বৈঠকে ১০টি আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রতিটির প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। সেখানে ফ্র্যাঞ্চাইজি প্রতিনিধিরা বিসিসিআইকে বলেছে, কিছু বিদেশি খেলোয়াড়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার জন্য। কারণ, ওই বিদেশি খেলোয়াড়রা যথাযোগ্য কারণ না দেখিয়েই আইপিএল থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছেন। আর, তারই শাস্তি হিসেবে আইপিএলে ওই বিদেশি খেলোয়াড়দের খেলার ওপর দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা জারির জন্য বিসিসিআইকে অনুরোধ করেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো।
একইসঙ্গে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো অনুরোধ করেছে, বিদেশি খেলোয়াড়দের বড় নিলামে নাম তুলতে গেলে যাতে বাধ্যতামূলকভাবে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। শুধু ছোট নিলামে নাম নথিভুক্ত করলে বিদেশি খেলোয়াড়রা বড় নিলামে অংশগ্রহণের ধারাবাহিক সুযোগ পাবেন না। এটা নিশ্চিত করার জন্য বিসিসিআইকে অনুরোধ করেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো।
বিসিসিআই পরবর্তী মেগা নিলাম, খেলোয়াড়দের ধরে রাখা আর ম্যাচের অধিকার নিয়ে নিয়মাবলি ঠিক করতে ৩১ জুলাইয়ের বৈঠকটি ডেকেছিল। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো বৈঠকে বিসিসিআইকে জানিয়েছে, টুর্নামেন্টের জন্য নিলামের সময় যদি খেলোয়াড়দের পাওয়া যায়, সেই ব্যাপারে স্বচ্ছতা থাকলে তারাও নানা শর্তের সঙ্গে মানিয়ে নিতে প্রস্তুত। আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতার কারণে বিদেশি খেলোয়াড়দের যদি সেদেশের বোর্ডগুলো ডেকে নেয়, পারিবারিক কারণে অথবা চোট-আঘাতের জন্য যদি বিদেশি খেলোয়াড়রা টুর্নামেন্ট থেকে সরে যান, সেই ব্যাপারে তাদের কিছু বলার নেই বলেই ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো বৈঠকে জানিয়েছে।
ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর একথা বলার কারণ, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে বিদেশি খেলোয়াড়রা নিলামের পরে নাম প্রত্যাহার করছেন। অথবা নিলাম হয়ে যাওয়ার পর ঠিক খেলা শুরুর মুহূর্তে তাঁরা নিজেদের সরিয়ে নিচ্ছেন। এতে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আর, এটা নিয়েই বিদেশি খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর অভিযোগ। কারণ, শেষ মুহূর্তে ঘটনাটা ঘটায় ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো তখন বদলি হিসেবে কোনও উপযুক্ত খেলোয়াড়কে পাচ্ছে না।
একইসঙ্গে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো বিসিসিআইকে অনুরোধ করেছে, এমন ব্যবস্থা করা হোক যাতে বিদেশি খেলোয়াড়রা মিনি নিলামে নাম নথিভুক্ত করেই মেগা নিলামে অংশগ্রহণের সুযোগ না পায়। মেগা নিলামের জন্য যেন তাঁদের আলাদাভাবে নাম নথিভুক্ত করতে হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে বলেই ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো বিসিসিআইয়ের কাছে আবেদন করেছে। এক ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তা অভিযোগ করেছেন, 'বিদেশ খেলোয়াড় এবং তাঁদের ম্যানেজাররা আইপিএল ব্যবস্থার সঙ্গে রীতিমতো খেলা করছেন।'
২০২২ সালের নিলামে আইপিএলে সর্বোচ্চ দর পেয়েছিলেন ইশান কিষাণ। তাঁকে ১৫ কোটি ২৫ লক্ষ টাকায় কেনা হয়েছিল। কিন্তু, ২০২৪ সালের নিলামে সর্বোচ্চ দর পেয়েছেন মিচেল স্টার্ক। তিনি পেয়েছেন ২৪ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা। আর প্যাট কামিন্স পেয়েছেন ২০ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা।
আরও পড়ুন- ‘পুরুষ’ হয়ে ঘুঁষিতে নাক ফাটালেন নারীর! লিঙ্গ বিতর্কে উত্তাল অলিম্পিকের বক্সিং
বিদেশি খেলোয়াড়দের ওপর রীতিমতো ক্ষিপ্ত হয়ে বৈঠকে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক কাব্যা মারান বলেছেন, 'নিলামে বাছাই হওয়ার পর যদি কোনও খেলোয়াড় চোট-আঘাতের কারণ ছাড়া অন্য কোনও কারণে আইপিএল না খেলেন, তবে ওই খেলোয়াড়ের ওপর আইপিএলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো নিলামে দলের সমন্বয় ঠিকঠাক রাখার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালায়। যদি একজন খেলোয়াড় নিলামে ঠিকমতো দর না পেয়ে আইপিএল খেলতে না আসেন, তাতে দলের সমন্বয় এবং ভারসাম্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিদেশি খেলোয়াড়দের এভাবে খেলতে না আসার অনেকগুলো উদাহরণ আছে।' আর, সেই সব কারণে ওই খেলোয়াড়দের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন করেছেন ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তারা।