আইপিএলের মিডিয়া রাইটস বিক্রি করে দুর্ধর্ষ চুক্তি আদায় করে নিয়েছে বিসিসিআই। প্রায় ৫০ হাজার কোটি আয় করবে বিসিসিআই, শুধুমাত্র মিডিয়া রাইটস থেকেই। ঘটনা হল, হাজার হাজার কোটি টাকা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পরেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে, বিশাল পরিমাণ অর্থ ক্রিকেটারদের বিপথে ঠেলে দেবে না তো!
এমন বক্তব্যের সঙ্গে অবশ্য সহমত নন বোর্ড সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বলে দিলেন, ক্রিকেটারদের পারফর্ম করার খিদেই তাঁদের চালনা করবে, অর্থনৈতিক বিষয়টি মোটেই ফ্যাক্টর হবে না। টাইমস অফ ইন্ডিয়া-কে বোর্ড সভাপতি বলে দিয়েছেন, "অর্থের সঙ্গে ক্রিকেটের সঙ্গে কোনও সম্পর্কই নেই। সুনীল গাভাসকার থেকে রাহুল দ্রাবিড়-অনিল কুম্বলেদের জমানা থেকে এখন ক্রিকেটাররা যে পরিমাণ উপার্জন করেন, তার কোনও তুলনাই হয় না। তবে সকলের মধ্যেই পারফর্ম করার খিদে ছিল। মনে হয় না, ক্রিকেটাররা স্রেফ অর্থের জন্য মাঠে নামেন। সম্মান এবং দেশের জার্সিতে খেলার গর্ব ক্রিকেটারদের উদ্বুদ্ধ করে। প্রত্যেক ক্রিকেটারই বড়মাপের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট জিততে চান।"
প্রত্যেক ম্যাচ থেকে আয়ের হিসাবে আইপিএল পেরিয়ে গিয়েছে ইপিএলের মত দুনিয়া সেরা ক্রীড়ালিগকেও। ভারতীয় বোর্ড আরও বড় উইন্ডোয় আইপিএল আয়োজন করার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরে এই অঙ্কের চুক্তি আদায় করতে সমর্থ হয়েছেন সৌরভ এন্ড কোং।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সূচির প্রেক্ষিতে আরও বড় আইপিএল উইন্ডোর বিষয়েও নিজের মতামত প্ৰকাশ করেছেন মহারাজ। বলছেন, আইসিসির উচিত এফটিপি সূচি খুব যত্ন করে সাজানো। বোর্ড প্রধানের বক্তব্য, "দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আগের মতই চলবে। আইপিএল একান্তভাবেই ভারতীয় টুর্নামেন্ট। দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বাকি ক্রিকেট বিশ্বের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য। অন্যান্য দেশের ক্রিকেটাররা দ্বিপাক্ষিক সিরিজে অংশ নেবে। আগামী দুই বছরে আইপিএলে ৭৪টি করে ম্যাচ হবে। তাই পরের ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম আরও ভালোভাবে আয়োজন করতে হবে।"
আগামী দুই মরশুমে ৭৪টি করে ম্যাচ হওয়ার পরে পরবর্তী সিজনে আইপিএলের ম্যাচ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৯৪টিতে। বোর্ড সচিব জয় শাহ জানিয়েই দিয়েছেন, আগামী বছর থেকে আইপিএল হবে আড়াই মাসের উইন্ডোতে।