/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/06/Asad-rauf.jpg)
কয়েকদিন আগেই শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি রোশন মহানামাকে দেখা গিয়েছিল দেশের অব্যবস্থায় সহ নাগরিকদের প্রতি চা এবং পাউরুটি এগিয়ে দিতে। এবার একই কাণ্ড দেখা গেল আইসিসির একসময়ের এলিট প্যানেল ভুক্ত আসাদ রউফের ক্ষেত্রেও। আম্পায়ারিং ছেড়ে তিনি আপাতত পাকিস্তানের লান্দা বাজারে জুতোর দোকান খুলেছেন।
২০০০ থেকে ২০১৩- টানা ১৩ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৭০টি ম্যাচ পরিচালনা করেছেন রউফ। তারপরেই নির্বাসিত হতে হয় তাঁকে। ক্রিকেটে তাঁর আপাতত কোনও উৎসাহই নেই। জুতো এবং জামা কাপড় বিক্রি করে সংসার চলে তাঁর।
আরও পড়ুন: স্ত্রীর সঙ্গে ছবি পোস্ট করে ভয়ঙ্কর বিপদে পাক ক্রিকেটার! উঠল ধর্ম অবমাননার অভিযোগ
পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম পাকটিভি.টিভি-কে রউফ জানিয়েছেন, "এটা আমার জন্য নয়। আমার কর্মীদের জন্য এমন ব্যবস্থা। ওঁদের জন্যই আমাকে কাজ করতে হয়। এতদিন সর্বোচ্চ পর্যায়ে আম্পায়ারিং করার করে কারোর সঙ্গে সাক্ষাৎ বাকি থাকেনি। তবে ২০১৩-র পরে আমার সঙ্গে ক্রিকেটের আরো কোনও সংস্রব নেই। কারণ একবার কোনও কিছু ছেড়ে দেওয়ার সেই বিষয়ে আর কোনও উৎসাহ থাকে না।"
ক্রিকেটে দুর্নীতির দায়ে বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে রউফকে ২০১৬-য় নির্বাসিত করা হয়। ২০১৩-র আইপিএলে স্পট ফিক্সিং কাণ্ডে জড়িয়ে পড়ার পড়েন তিনি। বুকিদের কাছ থেকে উপহার নেওয়ার অভিযোগও ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। ঠিক তার পরের বছরেই মুম্বইয়ের এক মডেল তাঁর বিরুদ্ধে নিগ্রহের অভিযোগ আনেন। অভিযোগ ওঠে বিবাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মডেলের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছিলেন তিনি।
ক্রিকেট ছাড়ার ১০ বছর পর রউফের অবশ্য এর কোনও আক্ষেপ নেই। আর্থিক সমস্যায় অবশ্য জুতোর দোকান খোলেননি তিনি। রউফের দাবি, নিজের কাজে তিনি উৎকর্ষতার শীর্ষে উঠতে চান।
"যে কাজই করিজ তাতে যেন শীর্ষে পৌঁছতে পারি, সেটাই আমার লক্ষ্য থাকে বরাবর। দোকানদার হিসাবে আগে নিজের ক্ষমতার শীর্ষে পৌঁছেছিলাম। ক্রিকেটেও একই ঘটনা ঘটে। তারপর যখন আম্পায়ারিং শুরু করি, নিজেকেই বলি, একদম উঁচুতে যেতে হবে। আমার কোনও লোভ নেই। অনেক অর্থ দেখেছি। নিয়মের মধ্যে গোটা বিশ্ব প্রত্যক্ষও করেছি। আমার এক সন্তান বিশেষভাবে সক্ষম। অন্য এক সন্তান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে গ্রাজুয়েট পাস করে সবে ফিরেছে।" বলে দিয়েছেন তিনি।