পরিস্থিতি সেদিকেই এগোচ্ছিল। লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারিভাবে বাড়ানোর কথা ঘোষণা করতেই আইপিএল আয়োজন অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে গেলো।
প্রচন্ড আর্থিক ক্ষতির মুখে দাঁড়িয়ে আইপিএল। এমন অবস্থায় বোর্ডের একাংশ জুলাইয়ের উইন্ডোতে আইপিএল আয়োজনের পক্ষপাতী ছিল। তবে মঙ্গলবারের পর সেই সম্ভাবনায় ইতি পরে গেল। বোর্ডের তরফে যদিও সরকারিভাবে মঙ্গলবার বিকেলে পর্যন্ত কিছু স্বীকার করে নেওয়া হয়নি।
বিশ্বে প্রতিদিনই করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গোটা বিশ্বে ইতিমধ্যেই ২ মিলিয়নের বেশি লোক আক্রান্ত এই ভাইরাসের কবলে। প্রায় মৃত্যুর সংখ্যা লাখের কোটায়। ২৯ মার্চ থেকে আইপিএল শুরু হওয়ার কথা ছিল।
তবে এমন অবস্থায় আইপিএল ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করে দেওয়া হয়েছিল লকডাউন ঘোষণা হওয়ার সঙ্গেই। গোটা দেশেই এখন করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে এমন অবস্থায় চলতি মরশুমে আইপিএল বাতিল করার পক্ষে অনেকে। যদিও বোর্ডের অনেকে আবার অগাস্ট-সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় উইন্ডোতে দু-একটি বাতিল করে আইপিএল খেলানোর পক্ষপাতী, টি২০ বিশ্বকাপের আগে।
এর আগে বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, "আইপিএল নিয়ে কোনোকিছুই বলা সম্ভব হচ্ছে না। কীই বা বলার রয়েছে? বিমানবন্দর বন্ধ, মানুষ বাড়িতে আটকে রয়েছে। অফিস বন্ধ রাখা হয়েছে। কেউই কোথাও যেতে পারছে না। মনে হচ্ছে মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত এরকমভাবেই চলবে।"
এরপর তাঁর আরো সংযোজন ছিল, "এখন আইপিএল হলে ক্রিকেটাররা কিভাবে আসবে, কোথা থেকে ক্রিকেটারদের পাওয়া যাবে! সাধারণ বিচারে বলে আইপিএল তো বটেই, গোটা বিশ্বেই আপাতত খেলার উপযুক্ত পরিবেশ নেই।"
সৌরভের গলার অসহায়তাই ফুটে উঠেছিল বোর্ডের কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধূমলের কণ্ঠে, "বর্তমানে পুরো চিত্রটাই অস্পষ্ট। কখন লকডাউন বন্ধ হবে, কখন সদর্থক আলোচনা হবে, তা কেউই জানে না। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে নির্দেশিকা পাওয়ার পরেই পুরো পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে পারবো আমরা। এই মুহূর্তে কোনো ভবিষ্যৎবাণী অপরিণত হয়ে যাবে।"
সব মিলিয়ে আইপিএল আয়োজন নিয়ে নাভিশ্বাস দশা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের।