আইপিএল কী আয়োজন করা উচিত? কেভিন পিটারসেন ও সঞ্জয় মঞ্জরেকর সরাসরি জানিয়েছিলেন, ক্রিকেটে আর্থিক ভারসাম্য বজায় রাখতে প্রয়োজনে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে ম্যাচ আয়োজন করা হোক।
সেই একই যুক্তি দিচ্ছেন এবার হরভজন সিংও। তিনি স্টার স্পোর্টসের এক অনুষ্ঠানে এসে জানিয়েছেন, "দর্শকরা খেলার পক্ষে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। তবে পরিস্থিতি উন্নতি না হলে দর্শকদের ছাড়াই খেলতে হবে আমাদের। ক্রিকেটার হিসেবে হয়তো সেই ভাইব পাবো না। তবে সমর্থকরা যাতে টিভিতে খেলা দেখতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।"
সেই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, "আমাদের সব বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ম্যাচ ভেন্যু, হোটেল এবং ফ্লাইট পুরোপুরি সানিটাইজ করে ক্রিকেটারদের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। স্বাস্থ্যব্যবস্থা সংকটের মধ্যে। এমন অবস্থায় সঠিক পরিস্থিতিতেই আইপিএল আয়োজন করা উচিত।"
বিশ্বে প্রতিদিনই করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গোটা বিশ্বে ইতিমধ্যেই ৭০ হাজারের কাছাকাছি লোক মারা গিয়েছেন এই ভাইরাসের কবলে পড়ে। প্রায় ১.৫ মিলিয়নের বেশি লোক এখনও লড়াই করছে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে।
এমন অবস্থায় আইপিএল ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। গোটা দেশেই এখন করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে এমন অবস্থায় চলতি মরশুমে আইপিএল বাতিল করার পক্ষে অনেকে। যদিও বোর্ডের অনেকে আবার অগাস্ট-সেপ্টেম্বরের উইন্ডোতে দু-একটি সফর বাতিল করে আইপিএল খেলানোর পক্ষপাতী, টি২০ বিশ্বকাপের আগে।
ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের ধারণা, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে এখন বেশ কয়েকমাস সময় লাগবে। এমন অবস্থায় সম্ভবত আইপিএল বাতিল করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই আয়োজকদের।
হরভজন অবশ্য পুরো টুর্নামেন্ট খেলার বিষয়েও আশাবাদী, "আইপিএলে খেলা মিস করি। আশা করি এক বছর পরে টুর্নামেন্টের ১৭ টা (ফাইনাল) ম্যাচই খেলতে পারব আমরা। মাঠে খেলতে নামা, আমাদের জন্য বিপুলসংখ্যক ফ্যানের প্রতীক্ষা, আমাদের টিম বাসের সঙ্গে সমর্থকদের বাইক সবকিছুই মিস করছি। সমর্থক রাও হয়তো আমাদের মতোই আইপিএল মিস করছে। আশা করছি খুব শীঘ্রই আইপিএল খেলা হবে। ততদিন নিজেকে ফিট রাখছি।"
এর আগে আইপিএলের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ইংল্যান্ডের তারকা বলেছিলেন, "ব্যক্তিগতভাবে আমার মত আইপিএল আয়োজন করা উচিত। জুলাই অগাস্ট মাসের শুরুতেই করা হোক। এর মাধ্যমেই মরশুমের সূচনা করা সম্ভব। বিশ্বের প্রতিটি ক্রিকেটার আইপিএলে খেলার জন্য মুখিয়ে থাকে। একটা উপায় রয়েছে। ফ্র্যাঞ্চাইজিদের কাছে অর্থ জোগানোর। তিনটে এমন ভেন্যু রয়েছে যা করোনা প্রভাবের বাইরে। সেখানে ৩-৪ সপ্তাহে দর্শকশূন্য পরিস্থিতিতে ম্যাচ আয়োজন করা সম্ভব।"
এই প্রসঙ্গে তাঁর আরও সংযোজন ছিল, "এই মুহূর্তে দর্শকদের ঝুঁকি কোনও দরকার নেই। সমর্থকদের বুঝতে হবে এই মুহূর্তে লাইভ ম্যাচ দেখা সম্ভব নয়। আগামী ভবিষ্যতেও সম্ভবনা কম।"