এই মুহূর্তে আইপিএল নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো জায়গাতেই নেই বিসিসিআই। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে আইপিএল আয়োজন অনেকটাই অপরিণত কথাবার্তা। এমনটাই জানাচ্ছেন, বিসিসিআইয়ের কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমল।
২৯ মার্চ আইপিএল আয়োজনের কথা থাকলেও লকডাউনের জন্য তা ১৫ এপ্রিল পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যেই বিসিসিআই তরফে একাধিক অপশন খোলা রাখা হচ্ছিল আইপিএল আয়োজনের জন্য। কিন্তু ১৫ এপ্রিলের পরে আরও একপ্রস্থ লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে। একাধিক রাজ্যের পক্ষ থেকে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর কথা জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠিও দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দেওয়া ছাড়া আর কোনো পথ নেই বোর্ডের সামনে।
এমন পরিস্থিতিতে অরুণ ধুমল পিটিআইকে জানিয়েছেন, "বর্তমানে পুরো চিত্রটাই অস্পষ্ট। কখন লকডাউন বন্ধ হবে, কখন সদর্থক আলোচনা হবে, তা কেউই জানে না। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে নির্দেশিকা পাওয়ার পরেই পুরো পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে পারবো আমরা। এই মুহূর্তে কোনো ভবিষ্যৎবাণী অপরিণত হয়ে যাবে। প্রত্যেকেই চায় আইপিএল হোক, তবে পুরো বিষয় নিয়ে স্বচ্ছতা থাকা ভালো।"
পাশাপশি তিনি আরো জানান, "বিসিসিআইয়ের অফিস বিয়ারারদের মধ্যে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রয়েছে। শুধু আইপিএলই নয়, বোর্ডের বহু আইনি বিষয়, ইস্যু বাকি রয়ে গিয়েছে। সোমবারে কোনো কনফারেন্স কল শিডিউল করা ছিল না। কারণ এই পরিস্থিতিতে আলোচনার কোনো অর্থ নেই।"
আইপিএল নিয়ে তিনি আরো জানিয়েছেন, "পরের মাসে আইপিএল আয়োজন করা হলে কীভাবে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা এদেশে আসবে, কারণ অস্ট্রেলিয়া ৬ মাস লকডাউন রয়েছে। পাশাপাশি অন্য বোর্ডের সম্মতির প্রয়োজন।"
আইপিএল আয়োজনের বাস্তব সমস্যা নিয়ে ধুমলের আরো সংযোজন, "লকডাউন শেষ হয়ে গেলেও যদি দেশের বেশ কিছু জায়গায় করোনা হটস্পট থাকে, তাহলে কী হবে? ক্রিকেটারদের জীবন নিয়ে রিস্ক নেওয়া কী উচিত হবে? পাশাপাশি ক্রিকেটারদের অনুশীলন ছাড়াই খেলতে হবে। আইপিএল আয়োজন সম্ভব হলেও ক্রিকেটারদের অনুশীলনের মাধ্যমে ফিট হওয়ার জন্য বেশ কিছু সময় বরাদ্দ করতে হবে।"