গোটা দেশ বর্ধিত লকডাউনের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে। এর মধ্যেই আইপিএল সম্ভবত অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হতে চলেছে। এমনটাই জানানো হয়েছে পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে।
২৯ মার্চ আইপিএল আয়োজনের কথা থাকলেও লকডাউনের জন্য তা ১৫ এপ্রিল পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যেই বিসিসিআই তরফে একাধিক অপশন খোলা রাখা হচ্ছিল আইপিএল আয়োজনের জন্য। কিন্তু ১৫ এপ্রিলের পরে আরও একপ্রস্থ লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে। একাধিক রাজ্যের পক্ষ থেকে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর কথা জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠিও দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দেওয়া ছাড়া আর কোনো পথ নেই বোর্ডের সামনে।
ভারতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮০০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। মৃত্যুর সংখ্যা ২৫৯। এমন অবস্থায় যদিও বিসিসিআই যদিও এখনও সরকারিভাবে কোনো কিছু ঘোষণা করেনি। এখন বিসিসিআই লকডাউনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের চূড়ান্ত ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছে। তারপরেই সম্ভবত সরকারিভাবে জানানো হবে আইপিএল ভাগ্য।
বিসিসিআই এক আধিকারিক পিটিআইকে জানিয়েছেন, "পাঞ্জাব, মহারাষ্ট্র এবং কর্ণাটক ইতিমধ্যেই জানিয়েছে লকডাউন বাড়াচ্ছে তারা। আপাতত আইপিএল আয়োজন করা যে সম্ভব নয়, তা বোঝাই যাচ্ছে। তবে এটা ক্যানসেল করা হচ্ছে না। আপাতত অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দেওয়ার বিষয়ে ভাবা হচ্ছে।"
আইপিএল ক্যানসেল করলে যে বিপুল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে বোর্ড তাও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি, "আইপিএল কোনোভাবেই বাতিল করা হবে না। কারণ সেক্ষেত্রে বোর্ড ৩০০০ কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হবে। বিসিসিআই সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে সমাধানের চেষ্টা চালাবে। তবে তার আগে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসতে হবে।"
আপাতত বোর্ডের সামনে দুটো অপশন খোলা রয়েছে। টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে সেপ্টেম্বর অথবা অক্টোবরের শুরুতে আয়োজন করা। টি ২০ বিশ্বকাপের বদলেও আইপিএল আয়োজন করতে পারে বোর্ড। সেক্ষেত্রে আইসিসি এবং ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সম্মতির প্রয়োজন।
বোর্ড কর্তা জানাচ্ছেন, "অনেক যদি কিন্তু র উপর সমস্ত কিছু নির্ভর করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সুস্থ আলোচনা সম্ভব। তার আগে কোনো কিছুই বলা সম্ভব নয়।"