গত বছরই সমস্ত ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন। এবার দক্ষিণ আফ্রিকান কিংবদন্তি এবি ডিভিলিয়ার্সকে দেখা যাবে অন্য খেলার জগতে। ব্যাটের বদলে হাতে থাকবে গলফ স্টিক। অপেশাদার স্তরে নয় রীতিমত আন্তর্জাতিক গলফের কোর্সে দেখা যাবে তাঁকে। জুনের ৩০ থেকে জুলাইয়ের ১ তারিখ পর্যন্ত নিউ জার্সিতে আইকন সিরিজের উদ্বোধনী আসরে নামছেন তিনি অবশিষ্ট বিশ্ব একাদশের বিরুদ্ধে। প্রতিপক্ষ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অবশিষ্ট বিশ্ব একাদশের নেতৃত্বে থাকছেন ফ্রেড কউপলস।
ঘটনাচক্রে এবি ডিভিলিয়ার্সের সঙ্গেই একই দলে দেখা যাবে টেনিসে প্রাক্তন একনম্বর এবং তিনবারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী এশ বার্তিকে। এছাড়াও থাকছেন বক্সিং গ্রেট অস্কার দে লা হোয়া, সাঁতারের কিংবদন্তি মাইকেল ফেল্পস। দে লা হোয়া, ফেল্পস খেলবেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে।
আরও পড়ুন: ঝাড়ুদার হয়ে গিয়েছিলেন প্রায়! সেখান থেকেই নাইটদের নতুন নায়ক, রিঙ্কুর কেরিয়ার যেন রূপকথা
প্রত্যেক ক্রীড়াবিদই নিজেদের খেলায় এক পর্যায়ে সেরার সেরার সম্মান পেয়েছেন। তাঁদের প্রত্যেকের কেরিয়ারই বৈপরীত্যে ভরা। প্রোটিয়াজ মহাতারকা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ক্রিকেটে এক দশক রাজত্ব করেছেন। ২০১৮-য় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান। খেলা থেকে পুরোপুরি অবসর নেন ২০২১-এ গত বছর।
অন্যদিকে, এশ বার্তি ২০২২-এ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার এক মাসের মধ্যে ক্রমপর্যায়ে একনম্বর থাকতে থাকতেই টেনিসকও বিদায় জানান।
বার্তিকে এমন অসম্ভব সময়ে অবসর নেওয়ার পরে ডিভিলিয়ার্স সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, "এটা এমন একটা অদ্ভুত অভিজ্ঞতা যা বর্ণনা করা মুশকিল। প্রত্যেক ব্যক্তিই নিজেদের কেরিয়ারে যতদূর সম্ভব প্রলম্বিত করার উদ্দেশ্যে নিজেদের ঘঁষে মেজে নেন। গোটা বিশ্ব বার্তির অবসরের সিদ্ধান্তে শ্রদ্ধাশীল। মনে হতে পারে সরে দাঁড়ানোয় অনেক চাপ কমবে। তবে এই বয়সেই অবসর কার্যত অকল্পনীয়।"
নিজের অবসরের প্রসঙ্গেও ডিভিলিয়ার্স জানিয়েছেন, "এখানে বসে থাকাটা বেশ স্বস্তির। সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আমি খুশি। যদিও খেলাকে আগের মতই মিস করব। ক্রিকেটের প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব। একইভাবে বার্তির মনেও শান্তি। যেখানে আমি ছিলাম। স্মরণীয় সব ক্রিকেট মুহূর্ত ফিরে দেখাটা খুব সন্তোষজনক বিষয়। অনেক ভুল করেছি। তবে এমন পর্যায়ে এসে কোনও অনুশোচনা নেই।"