কলকাতার ফুটবলে তিনি বর্ণময় চরিত্র। মোহনবাগানে খেলেছেন। ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতেও সমর্থকদের মধ্যমণি হয়ে উঠেছেন অতীতে। আবার খেপ খেলে দুর্নাম কুড়িয়েছেন। সেই আনসুমানা ক্রোমাকে এবার আসন্ন কলকাতা লিগে দেখা যাবে টালিগঞ্জ অগ্রগামীর জার্সিতে। শুক্রবারই বড়সড় দলবদলে তিনি পিয়ারলেস থেকে নাম লেখালেন টালিগঞ্জে।
ক্রোমা কলকাতা ফুটবলে স্মরণীয় পিয়ারলেসকে কলকাতা লিগে চ্যাম্পিয়ন করানোয় মূল কারিগরের ভূমিকা পালন করানোর জন্য। ২০২৯/২০ মরশুমে ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান এবং মহামেডান- তিন প্রধানের বাইরে কলকাতা লিগের ৬১ বছর পর ইতিহাসে সেই প্ৰথমবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল অন্য কোনও দল। সেবার কলকাতা লিগের টপ স্কোরার ছিলেন লাইবেরিয়ান এই ফরোয়ার্ড।
আরও পড়ুন: ISL-এ সর্বাধিক ম্যাচ খেলা বিদেশি! এমন সুপারস্টারেরই বাগান থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেল
পিয়ারলেসের হয়েই ভারতীয় ফুটবলে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন তারকা, ২০১৬/১৭-য়। তারপরে গড়িয়ে গিয়েছে অনেক জল। আইলিগে খেলেছেন চার্চিল ব্রাদার্সের হয়ে। গোয়ান ক্লাবের পাঠ চুকিয়ে পরপর দু-বছর খেলেন মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গলের হয়ে। ইস্টবেঙ্গলে খেলেছেন দু-দফায়। পিয়ারলেসের হয়ে চার দফায় খেলেছেন চার সিজন। মাঝে নেপালি ক্লাব থ্রি স্টারেও খেলে এসেছেন।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/05/Kromah.jpg)
মোহনবাগানের জার্সিতে আনসুমানা ক্রোমা (মোহনবাগান মিডিয়া)
কলকাতা ফুটবল নখদর্পণে থাকা ক্রোমাকে সই করিয়ে নিজেদের শক্তি অনেকটাই যে বাড়িয়ে নিল টালিগঞ্জ, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বাঙালি কন্যা বিয়ে করে বাংলার জামাইবাবু হয়ে গিয়েছেন ক্রোমা। তাঁকে সই করিয়ে কার্যত চমকে দিল টালিগঞ্জ।
ক্রোমার সঙ্গেই ফরোয়ার্ডে জুটি হিসাবে সই করানো হয়েছে ক্রিস্টোফার চিজোবা। যিনি ক্রোমার মত মোহনবাগান প্রাক্তনী। কলকাতার অন্য প্রধান মহামেডানেও খেলেছেন ক্রিস্টোফার চিজোবা। আইলিগে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে শিলং লাজংয়ের হয়ে। এই দুই বিদেশি ছাড়াও টালিগঞ্জে সই করলেন অর্ণব দাসশর্মা, সুজয় দত্ত।
কলকাতা লিগে টালিগঞ্জের ক্রিস্টোফার-ক্রোমা জুটি যে এবার বাকি দলগুলিকে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।